
দ্য ওয়াল ব্যুরো: টলিপাড়াতে প্রতিবাদী, ঠোঁটকাটা বলেই পরিচিত শ্রীলেখা। অভিনয় জগতের নেপোটিজম থেকে রাজনীতি সব নিয়েই তিনি সচেতন। বামমনস্ক শ্রীলেখা কোনওদিনই আপোষ করেননি তাই বারবার সাদাকে সাদা আর কালোকে কালো বলার ধক রেখেছেন। বারবারই তিনি পদ্মফুল ও জোড়াফুলকে বিঁধিয়ে কথা বলেছেন। এবার ‘খেলা হবে’ সুরেই বিঁধলেন রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকারকে।
ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। রং বদলের পালা অবশ্য তার অনেক আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে। দিকে দিকে ‘খেলা হবে’ রব। এই স্রোতে গা ভাসিয়েই ফেসবুকে গানের ভিডিও শেয়ার করলেন শ্রীলেখা মিত্র। ক্যাপশনে লিখলেন, ”হবে হবে খেলা হবে… ধৈর্য ধরুন।”
বাংলার রাজনীতিতে ‘খেলা হবে’ শব্দ দুটো একটা আলাদাই তাৎপর্যের জায়গা করে নিয়েছে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর মুখেও শোনা গেছে ‘খেলা হবে’র কথা। সেই খেলা হবের প্যারোডি তৈরি হয়েছে, আর সেই ভিডিওই শেয়ার করেন শ্রীলেখা।
গানের কথায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একহাত নেওয়া হয়েছে। তেল ও রান্নার গ্যাসের বাড়তি দাম থেকে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পেরও সমালোচনা করা হয়েছে। পরিচালক অনীক দত্তর কাছ থেকে ভিডিওটি পেয়েছেন বলেই জানান অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় মনের কথা বলতে কার্পণ্য করেন না তিনি। কিছুদিন আগেই নিজের নতুন লুকের ছবি পোস্ট করেছিলেন। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, ”লুক পালটাতে পারে কিন্তু আদর্শ … কখনওই না।”
ভোটের আগে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন টলিপাড়ার একাধিক তারকা। একদিকে যেমন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন দীপঙ্কর দে, ভরত কল, সায়নী ঘোষ, কৌশানি মুখোপাধ্যায়, সৌরভ দাস, পিয়া সেনগুপ্তর মতো তারকারা, অন্যদিকে পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ, যশ দাশগুপ্ত, পায়েল সরকারের মতো তারকারা। নাট্য জগতের একাধিক কর্মী ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। আবার বাংলা টেলিভিশনের একাধিক তারকারাও রাজনৈতিক দলে নাম লিখিয়েছেন। বরাবর বামপন্থায় বিশ্বাসী শ্রীলেখা মিত্র। সেকথা স্পষ্টভাবেই বলেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রী বরাবরই বিশ্বাস করেন মানুষের জন্য কাজ করতে গেলে রাজনীতিতে আসার প্রয়োজন নেই। সেবানীতিতে বিশ্বাস রাখেন শ্রীলেখা।