
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার দিনেই জামিনে ছাড়া পেলেন দুই তৃণমূল কর্মী খুনের দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ১৮ জন সিপিএম কর্মী । বিধানসভা ভোটের মুখে হাইকোর্টের নির্দেশে জামিনে দলের ১৮ জন কর্মীর মুক্তি মেলায় খুশি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের বাম শিবির।
শুক্রবার হাইকোর্টের নির্দেশের কপি বর্ধমান আদালতে জমা দেন অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারক মাসে একদিন জামালপুর থানার ওসির কাছে হাজিরা দেওয়ার শর্তে সাজাপ্রাপ্তদের জামিন মঞ্জুর করেন। বেলবন্ড জমা পড়ার পর সাজাপ্রাপ্তরা এদিনই বর্ধমান সংশোধনাগার থেকে ছাড়া পায়। বিধানসভা ভোটের ঢাক বেজে যাওয়ার পর জামিনে দলের ১৮ জনের মুক্তি সিপিএমকে অক্সিজেন যোগাবে বলে মনে করছেন জামালপুরের রাজনৈতিক মহল ।
২০১০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর বিকাল থেকে জামালপুরের জ্যোৎশ্রীরাম পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন গ্রামে হামলা চালায় সিপিএম কর্মীরা। অভিযোগ হামলাকারীরা মুইদিপুর গ্রামের তৃণমূল কর্মীদের ব্যাপক মারধর করে ও বেছে বেছে তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি বাড়ি হামলা চালায়। জ্যোৎশ্রীরামের রেসলাতপুর গ্রামের দিঘিরপাড় ও উজিরপুর গ্রামের রুইদাস পাড়ায় তাণ্ডব চালানোরও অভিযোগ ওঠে সিপিএম কর্মীদের বিরুদ্ধে। সেখানকার দুই তৃণমূল কর্মী পাঁচুগোপাল রুইদাস ও অমরপুরের তৃণমূল কর্মী ঈশাহক মল্লিককে তাঁতিপাড়ায় তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়। পরে পাঁচুগোপাল রুইদাসের ভাইপো প্রবীর রুইদাস খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।
সেই মামলায় বর্ধমানের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক শেখ মহম্মদ রেজা ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বেআইনি জমায়েত, খুন ও ষড়যন্ত্রের ধারায় ১৮ জন সিপিএম কর্মীকে দোষী সাব্যস্ত করেন। পরের দিন বিচারক তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন ।
এদিন জামালপুরের সিপিএম বিধায়ক সমর হাজরা বলেন,“মিথ্যা মামলায় ১৮ জন বাম কর্মীকে যে ফাঁসানো হয়েছিল সেটা হাইকোর্টের রায়েই প্রমাণিত হয়ে গেল। ভোটের সময়ে দলের ১৮ জন কর্মী মুক্তি পাওয়ায় অন্য বাম কর্মীদের মনোবল বাড়বে।’’