
একসঙ্গে ৫২ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসায় আতঙ্ক বর্ধমানের ভাতারে
ভাতার ব্লকে যে ৫২ জনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন হাড়গ্রাম, বামশোর, ভাটাকুল, রতনপুর, দুধবাগান, সাহেবগঞ্জ প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দারা। ভাতারের বিধায়ক সুভাষ মণ্ডলের এক নিরাপত্তা রক্ষীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: জামালপুরের পাশাপাশি এবার ভাতার। শহরাঞ্চলের পর এবার গ্রামীণ এলাকাতেও হুহু করে কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাতার ব্লকে ৫২ জনের পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। একসঙ্গে এতজনের পজিটিভ রিপোর্ট আসায় গোষ্ঠী সংক্রমণের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন প্রশাসন। আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারাও। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন ভাতার ব্লক হাসপাতালের এক নার্স। শনিবার সকাল থেকেই ওই এলাকায় গিয়ে মানুষকে সচেতন করছে পুলিশ।
ভাতার ব্লকে যে ৫২ জনের পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন হাড়গ্রাম, বামশোর, ভাটাকুল, রতনপুর, দুধবাগান, সাহেবগঞ্জ প্রভৃতি গ্রামের বাসিন্দারা। ভাতারের বিধায়ক সুভাষ মণ্ডলের এক নিরাপত্তা রক্ষীও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানা গেছে। যদিও তাঁর শরীরে কোনও উপসর্গ ছিল না। ওই নিরাপত্তারক্ষী ভাতার বাজারে সরকারি আবাসনে থাকেন। তিনি সম্প্রতি ভাতার বাজারে রবীন্দ্রপল্লিতে ভাড়াবাড়িতে উঠে আসেন। মালপত্র বহনের কাজে দুজন ভ্যানচালক তার সংস্পর্শে এসেছিলেন। পরে তাদের সোয়াব পরীক্ষা করা হয়। তাদের মধ্যে ভাতার গ্রামের বাসিন্দা একজনের পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে।
এমনিতেই হাড়গ্রাম ও বামশোর গ্রামে দেড় সপ্তাহ আগে চারজন করোনা সংক্রমিত ব্যক্তির সন্ধান মেলে। তার জেরে ওই দুটি গ্রামের শতাধিক মানুষের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট এলে দেখা দেখা যাচ্ছে ওই দুটি গ্রামের বেশ কয়েকজনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে।
গত দু’সপ্তাহ ধরেই জেলায় কোভিডে আক্রান্তের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। পরিস্থিতি সামাল দিতে সাতদিনের লকডাউন জারি হয়েছিল বর্ধমান সহ মেমারি, কালনা ও কাটোয়া পুর এলাকায়। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েত এলাকাতেও লকডাউন করা হয়। কিন্তু এখন সামাজিক দূরত্ব শিকেয় তুলে বাজার থেকে রাস্তা সব জায়গাতেই মানুষজনের ভিড়। অনেকে মাস্ক পর্যন্ত ব্যবহার করছেন না। পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলেও একশ্রেণির মানুষ কিন্তু এখনও বেপরোয়া।