
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান বিক্রি করতে না পেরে রাইসমিলের গেটে বিক্ষোভ দেখালেন চাষিরা। ঘটনাটি ঘটে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের চাণ্ডুলে। শনিবার এলাকার চাষিরা ধান বিক্রির জন্য রাইসমিলের গেটে জমায়েত হন। কিন্তু মিল কর্তৃপক্ষ গেট খোলেনি বলে অভিযোগ। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর চাষিদের কয়েকজন মিলের দেওয়াল টপকে ভিতরে ঢুকে পড়ে। ফলে মিলের চারটি ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে রাইস মিলে যায় বর্ধমান থানার পুলিশ।
এলাকার ফাগুপুর, ইউসুফাবাদ, ঢোলনা, নাটিয়াল, গ্রামগড় সহ মোট সাতটি গ্রামের কৃষকরা এদিন জমায়েত হন রাইসমিলের গেটে। সরকারি সহায়ক মূল্যে একজন কৃষক সর্বোচ্চ ৪৫ কুইন্ট্যাল বা ৭৫ বস্তা ধান বিক্রি করতে পারবেন। কুইন্টাল পিছু ধানের দাম ১৮৬৫ টাকা। একসঙ্গে উৎসাহ ভাতা হিসেবে আরও ২০ টাকা চাষি পাবেন প্রতি কুইন্ট্যালে। এলাকার কৃষক সেখ নৌসাদ বলেন, ‘‘রাইস মিল কর্তৃপক্ষ একেবারে সব ধান নেবে না। দু’খেপে চাষির কাছ থেকে ধান কিনবে। আবার প্রতিদিন ৩০ জনের বেশি চাষি ধান বিক্রি করতে পারবে না। তাহলে এখানকার হাজার হাজার চাষি কি করবে? তারা কোথায় যাবে? ধানই বা কোথায় রাখবে?’’
তাঁদের দাবি সব ধান একেবারেই কিনতে হবে। গতবছর এই ভাবে ধান কিনতে রাইসমিল দেরি করায় তাঁরা চরম ক্ষতির সম্মুখীন হন। তাছাড়া রাইসমিল কর্তৃপক্ষ নিজের খুশি মত ধান থেকে খাদ বাদ দিচ্ছে। এমনিতে সরকারি নিয়মে কুইন্ট্যালে আড়াই কেজি খাদ বাদ দেওয়া হয়। রাইসমিল তার উপরেও আবার দু- তিন কেজি করে খাদ বাদ দিচ্ছে। তাহলে চাষিদের কী থাকবে?
আরেক কৃষক সেখ ডালিম বলেন, ‘‘যদি প্রতিদিন মাত্র ৩০ জন করে চাষির ধান কেনা হয় তাহলে এত চাষির ধান কী করে বিক্রি হবে।?’’
এই বিষয়ে রাইসমিলের ম্যানেজার অরিন্দম সাহস বলেন, ‘‘সরকারি নির্দেশিকা মেনেই আমরা ধান কিনেছি আগের বছর। সরকারি নিয়মের বাইরে আমরা ধান কিনতে পারি না। প্রতিদিন চার হাজার কুইন্ট্যাল ধান আমরা কিনব। কিন্তু এলাকার কৃষকরা তা মানছেন না। তারা যেভাবে প্ল্যান্ট বন্ধ করে দিয়েছে, তাতে ক্ষতি হবে।’’
তবে ধানের খাদ বেশি পরিমাণে বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে চাষিদের অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।