
পথ কুকুরের মুখে ১২ দিন ধরে আটকে ছিল প্লাস্টিকের কৌটো, খুলে দিলেন পরিবেশ কর্মীরা
জানা গেছে দিনকয়েক আগে ধূপগুড়ি ব্লকের বারঘরিয়া এলাকায় একটি পথ কুকুর প্লাস্টিকের কন্টেইনার থেকে খাবার খেতে যায়। তখনই কোনওভাবে কন্টেনারটি তার মুখে আটকে যায়। এরপর প্রায় ১২-১৩ দিন ধরে মুখে কৌটো আটকে ঘোরাঘুরি করছিল কুকুরটি।
দ্য ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: খাবার খেতে গিয়ে মুখে আটকে গিয়েছিল প্লাস্টিকের একটি পাত্র। অসহ্য যন্ত্রণা নিয়ে গ্রামের পথে বিভিন্ন বাড়ি ঘুরে বেড়াচ্ছিল কুকুরটি। অবশেষে অ্যানিমেল লাভার নামে পশুপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা দীর্ঘ চেষ্টায় তার মুখ থেকে কন্টেইনারটি খুলে ফেলতে সক্ষম হলেন। কয়েকদিন আগেই বাচ্চা জন্মেছে কুকুরটির। বিপদমুক্ত হয়েই ছানাদের খোঁজে ছুট লাগাল মা।
জানা গেছে দিনকয়েক আগে ধূপগুড়ি ব্লকের বারঘরিয়া এলাকায় একটি পথ কুকুর প্লাস্টিকের কন্টেইনার থেকে খাবার খেতে যায়। তখনই কোনওভাবে কন্টেনারটি তার মুখে আটকে যায়। এরপর প্রায় ১২-১৩ দিন ধরে মুখে কৌটো আটকে ঘোরাঘুরি করছিল কুকুরটি। স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি লক্ষ্য করে খবর দেয় পশুপ্রেমী সংগঠন অ্যানিমেল লাভারকে। খবর পেয়ে অ্যানিমেল লাভারের সদস্যরা পৌঁছে অনেক খোঁজাখুঁজির পর কুকুরটিকে ধরে। এরপর দীর্ঘ চেষ্টায় তার মুখ থেকে আটকে থাকা প্লাস্টিকের কৌটো খুলে দেন সংগঠনের সদস্যরা।
দীর্ঘদিন ধরে কিছু না খেতে পেরে কুকুরটি শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। অ্যানিমেল লাভারের সদস্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা করে কুকুরটির। তাকে জল ও খাবার খাইয়ে সুস্থ করেন সংগঠনের সদস্যরা। সংগঠনের এক সদস্য অনিকেত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বারঘরিয়া এলাকা থেকে খবর আসে একটি পথ কুকুরের মুখে কৌটা আটকে আছে। কুকুরটি কিছুদিন আগেই সন্তান প্রসব করেছে বলেও জানতে পারি আমরা। সঙ্গে সঙ্গে ওই গ্রামে পৌঁছে তার মুখ থেকে আটকে থাকা কৌটা বের করে তার প্রাথমিক চিকিৎসা করি। এরপর তার ছানাদের খাইয়ে ফিরে আসি।’’