
চা বাগানে ঢুকে পড়া দু’টি বাইসনকে জঙ্গলে ফেরত পাঠালেন বিন্নাগুড়ির বনকর্মীরা
শনিবার সকালে কাজে যোগ দিতে এসে চা বাগানে দু’টি বাইসনকে ছোটাছুটি করতে দেখেন কর্তব্যরত শ্রমিকরা। আতঙ্কিত হয়ে তাঁরা খবর দেন বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বনকর্মীদের টিম নিয়ে ছুটে আসেন রেঞ্জার শুভাশিস রায়। চা শ্রমিকদের সেখান থেকে সরিয়ে দিয়ে বাইসন দু’টিকে ড্রাইভ করতে থাকেন তাঁরা। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় অবশেষে রেতির জঙ্গলে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হন তাঁরা।
দ্য ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: শনিবার সকালে ডুয়ার্সের রেতির জঙ্গল থেকে বেরিয়ে রিয়াবাড়ি চা বাগানে ঢুকে যায় দুটি বাইসন। বাগানের বিভিন্ন সেকসনে ছোটাছুটি করতে থাকে তারা। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন শ্রমিকরা। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় অবশেষে রেতির জঙ্গলে তাদের ফিরিয়ে দিল বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের বনকর্মীরা।
শনিবার সকালে কাজে যোগ দিতে এসে চা বাগানে দু’টি বাইসনকে ছোটাছুটি করতে দেখেন কর্তব্যরত শ্রমিকরা। আতঙ্কিত হয়ে তাঁরা খবর দেন বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বনকর্মীদের টিম নিয়ে ছুটে আসেন রেঞ্জার শুভাশিস রায়। চা শ্রমিকদের সেখান থেকে সরিয়ে দিয়ে বাইসন দু’টিকে ড্রাইভ করতে থাকেন তাঁরা। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় অবশেষে রেতির জঙ্গলে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হন তাঁরা।
শুভাশিসবাবু বলেন, ‘‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা বাইসন দু’টিকে ড্রাইভ করে আবার রেতির জঙ্গলে ফিরিয়ে দেই। কেউ হতাহত হননি।’’
মে মাসের গোড়ায় বানারহাটের তোতাপাড়া চা বাগান থেকে উদ্ধার হয়েছিল একটি বাইসনের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। এই ঘটনায় চা বাগান কর্তৃপক্ষের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিল বন দফতর।
ওই দিন ভোরের দিকে বানারহাট থানার অন্তর্গত তোতাপাড়া চা বাগানে তিনটি বাইসনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন চা শ্রমিকরা। এর মধ্যে দু’টি বাইসন তোতাপাড়ার জঙ্গলে ঢুকে গেলেও একটি বাইসন চা বাগানের ২৩ নম্বর সেকশনে ঢুকে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান বনকর্তারা। উপস্থিত হন বানারহাট থানার পুলিশকর্মীরাও।
বনকর্মীরা বাইসনটিকে ঘুম পাড়ানি গুলি করে কাবু করার চেষ্টা শুরু করেন। কিন্তু দেখা যায় তার আগেই বাইসনটির মৃত্যু হয়েছে। বনকর্মীরা কাছে গিয়ে দেখেন বাইসনটির দেহ ক্ষতবিক্ষত। প্রচুর রক্তপাত হয়েছে তার শরীর থেকে। চা বাগানে লাগানো কাঁটাতারে ক্ষতবিক্ষত হয়েই বাইসনটি মারা যায় বলে জানান বনকর্তারা। তোতা পাড়া চা বাগান কর্তৃপক্ষ তাঁদের বাগানে কাঁটাতার নেই বলে দাবি করেন।
শনিবার অবশ্য অক্ষত অবস্থাতেই বাইসন দু’টিকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দিতে পেরেছেন বন দফতরের কর্মীরা।