
নারী নিগ্রহ রুখতে উমা বাহিনী তৈরির কাজ শুরু করে দিল বিজেপির মহিলা মোর্চা
বুধবার জলপাইগুড়ি শ্রীদয়াল ভবনে এমনই একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ৮০ জন মহিলা। মার্শাল আর্টের তালিম নেন তাঁরা। তালিম নেওয়ার পর এরা ফিরে গিয়ে আরও মহিলাদের এই শিক্ষায় প্রশিক্ষিত করবেন বলে জানা গেছে।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জলপাইগুড়িতে উমা বাহিনী তৈরির কাজ শুরু করে দিল বিজেপি। রাজ্য জুড়ে বেড়ে চলা নারী নিগ্রহ রুখতে এটাই একমাত্র পথ বলে মনে করেন বিজেপির মহিলা মোর্চার নেতৃত্ব।
মেয়েদের নিরাপত্তার স্বার্থেই তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, রাজ্য জুড়ে মার্শাল আর্টে প্রশিক্ষিত একটি মহিলা বাহিনী তৈরি করা হবে। পথে ঘাটে মহিলারা আক্রান্ত হলে রুখে দাঁড়িয়ে হামলাকারীকে যাতে রুখে দিতে পারে, সেই লক্ষ্যেই এগোবে এই বাহিনী। কলকাতার মহিলা পরিচালিত একটি মার্শাল আর্টের টিমকে কাজে লাগিয়ে উমা বাহিনী নামে একটি ক্যারাটে শিক্ষায় প্রশিক্ষিত বাহিনী গড়ার কাজ চলছে। এঁরাই এখন জেলায় জেলায় গিয়ে মহিলাদের তালিম দিচ্ছেন।
বুধবার জলপাইগুড়ি শ্রীদয়াল ভবনে এমনই একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ৮০ জন মহিলা। মার্শাল আর্টের তালিম নেন তাঁরা। তালিম নেওয়ার পর এরা ফিরে গিয়ে আরও মহিলাদের এই শিক্ষায় প্রশিক্ষিত করবেন বলে জানা গেছে।
বিজেপি মহিলা মোর্চার জেলা সভাপতি টিনা গাঙ্গুলি বলেন, ‘‘রাজ্যের সর্বত্রই মহিলারা খুন, ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির শিকার হচ্ছে। গত কয়েকমাসে জেলার রাজগঞ্জ, ধূপগুড়ি, বানারহাট সহ বিভিন্ন যায়গায় নাবালিকা ও বয়স্ক মহিলাদের সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ফলে আমাদের রাজ্য সভাপতিকে বারবার ছুটে আসতে হয়েছে। তাই উনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উমা বাহিনী গড়ার। কলকাতা থেকে প্রশিক্ষক এসেছেন। আমরা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বাছাই করা ৮০ জন মেয়েকে ক্যারাটে শিক্ষায় প্রশিক্ষিত করলাম। এরা আজ তালিম নিয়ে ফিরে গিয়ে মণ্ডলে মণ্ডলে ছড়িয়ে থাকা অন্য মহিলাদেরও তালিম দেবে।’’

কিন্তু মাত্র একদিনে প্রশিক্ষণে এই কৌশল কি আয়ত্বে আনা সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রশিক্ষক মৌসুমি পাল বলেন, ‘‘মার্শাল আর্ট একজন পুরুষ কিংবা মহিলাকে আত্মরক্ষার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক অবসাদ কমিয়ে মানসিক দৃঢ়তা বাড়াতে সাহায্য করে। আজকের এই শিবির দু’ ঘণ্টার হলেও এর মাধ্যমে আমরা সূচনা করে গেলাম। এই কাজ চলবে।’’