
ডুয়ার্সে চা বাগানের নালা থেকে উদ্ধার হস্তিশাবকের দেহ, মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু বলে অনুমান
বৃহস্পতিবার ডুয়ার্সের দেবপাড়া চা বাগানের নালা থেকে মাটি চাপা পড়া অবস্থায় মাস খানেক বয়সের ওই হস্তি শাবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বন দফতর সুত্রে জানা গেছে, সকালে কাজে যোগ দিতে এসে ওই হস্তি শাবকটির মৃতদেহ দেখতে পান লাগোয়া চা বাগানের চা শ্রমিকরা। এরপরেই বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডে খবর দেন চা শ্রমিকেরা।
দ্য ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: হস্তিশাবকের মৃতদেহ উদ্ধারে চাঞ্চল্য ছড়াল ডুয়ার্সে। মাটি চাপা পড়েই ওই হস্তিশাবকটির মৃত্যু বলে প্রাথমিক অনুমান বন দফতরের। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে পরিবেশ কর্মী মহলে।
বৃহস্পতিবার ডুয়ার্সের দেবপাড়া চা বাগানের নালা থেকে মাটি চাপা পড়া অবস্থায় মাস খানেক বয়সের ওই হস্তিশাবকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। বন দফতর সুত্রে জানা গেছে, সকালে কাজে যোগ দিতে এসে ওই শাবকটির মৃতদেহ দেখতে পান লাগোয়া চা বাগানের চা শ্রমিকরা। এরপরেই বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডে খবর দেন চা শ্রমিকেরা। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে টিম নিয়ে ছুটে আসেন বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের রেঞ্জার শুভাশিস রায়। এলাকায় পৌঁছে তিনি দড়ি দিয়ে গোটা এলাকাটি ঘিরে ফেলেন। খবর দেওয়া হয় বন দফতরের ভেটেনারি চিকিৎসককে।
রেঞ্জার শুভাশিস রায় জানান, বুধবার রাতে রেতির জঙ্গল থেকে প্রায় ২০ টি হাতির একটি দল বের হয়েছিল বলে জানতে পেরেছেন তাঁরা। তিনি বলেন, ‘‘দলটি তাদের করিডর ধরে দেবপাড়া চা বাগানে ঢোকে। সেখান থেকে রাতেই তারা লক্ষ্মীপাড়ার দিকে যাচ্ছিল। ওইসময় কোনও ভাবে চা বাগানের নালায় পড়ে যায় মাসখানেকের ওই শাবকটি। এরপর তাকে নালা থেকে উপরে তোলার চেষ্টা করে হাতির দলটি। তখন হাতির পায়ের চাপে মাটি ধসে চাপা পড়ে বলে অনুমান। মাটি চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায় হস্তিশাবকটি।’’ তিনি জানান, এর পুরোটাই অবশ্য তাঁদের প্রাথমিক অনুমান। দেহের ময়নাতদন্তের পর শাবকটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
শীত পড়তেই ফসলের লোভে প্রায় প্রতিদিনই জঙ্গল লাগোয়া লোকালয়ে হানা দিচ্ছে হাতির পাল। কারণ মাঠে এখন হেমন্তের পাকা ধান। হাতির হানা রুখতে গ্রামবাসীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নজরদারির কাজ চালাচ্ছে বন দফতর। কিন্তু তাতেও হাতির হানা পুরোপুরি রোখা যাচ্ছে না। বুধবার রাতেও জঙ্গল থেকে বেরিয়ে হাতির পাল লোকালয়ে ঢোকার চেষ্টা করেছিল বলে বন দফতরের কর্তাদের অনুমান। তখনই চা বাগানে ঘটে এই বিপত্তি।