
কারখানার দখলদারি নিয়ে তুমুল বোমাবাজি, অশান্ত বর্ধমানের গলসি
এলাকার একটি রাইস ব্র্যান তেল তৈরির কারখানায় ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোলের সূত্রপাত বলে অভিযোগ। গ্রামের বাসিন্দারা জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীই সিংপুর গ্রামে বোমাবাজি করে। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করে জানান, মিল মালিকের সঙ্গে শ্রমিকদের বোনাস নিয়ে ওই ঝামেলা হয়।
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: কারখানায় ক্ষমতার দখলদারি নিয়ে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল গলসি। শুক্রবার সকাল থেকেই গলসির সিংপুর গ্রামে চলে ব্যাপক বোমাবাজি।
এলাকার একটি রাইস ব্র্যান তেল তৈরির কারখানায় ক্ষমতা দখলকে কেন্দ্র করে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গণ্ডগোলের সূত্রপাত বলে অভিযোগ। গ্রামের বাসিন্দারা জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীই সিংপুর গ্রামে বোমাবাজি করে। বৃহস্পতিবার থেকেই কারখানার দখল নিয়ে এলাকায় অশান্তি শুরু হয়েছে।
বোমাবাজির পর থেকেই ওই এলাকা পুরুষশূন্য। থমথমে গোটা গ্রাম। শুক্রবার সকাল আটটার সময় মিলের শ্রমিকদের বোনাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তি শুরু হয় এলাকায়। মুড়িমুড়কির মতো বোমা পড়তে শুরু করে। খবর পেয়ে গলসি থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। দুষ্কৃতীদের ধরপাকড়ের জন্য তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, গ্রামের কাছে ভাসাপুল মোড়ে একটি রাইস ব্র্যান তেলের মিল আছে। যেখানে সিংপুর গ্রামের বহু মানুষ শ্রমিকের কাজ করেন। মিলের শ্রমিকদের পুজোর বোনাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে বৃহস্পতিবার একজনকে মারধর করা হয়। এরপরেই জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব শ্রমিক ও মালিক পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে। শুক্রবার সকালে আচমকা গ্রামের তৃণমূল নেতা হাসু মণ্ডল ও বকুল সেখের গোষ্ঠীর লোকজন গ্রামে বোমাবাজি শুরু করে। মিলে নিজেদের ক্ষমতা দেখাতে গ্রামের ভিতরে ফাটানো হয় আট দশটি বোমা। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। গ্রামের বাসিন্দা নাজিয়ারা সেখ বলেন, ‘‘তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লোকজনই এদিন গ্রামে বোমাবাজি করে।’’
তবে তৃণমূল নেতৃত্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা অস্বীকার করে জানান, মিল মালিকের সঙ্গে শ্রমিকদের বোনাস নিয়ে ওই ঝামেলা হয়। এরসঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহসভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘‘এখানে বোনাস সহ বিভিন্ন দাবিদাওয়া নিয়ে মালিকের সঙ্গে শ্রমিকদের গণ্ডগোল হয়। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি ইফতিকার আহম্মদ ও তৃণমূল নেতা খোকন দাস বিষয়টি মিমাংসা করতে কারখানায় গেলে কিছু বহিরাগত লোকজন অশান্তি পাকানোর জন্য বোমাবাজি করে। এর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই। কারণ শ্রমিকদের মধ্যে সব দলেরই লোক আছে। বাইরের লোকজন এলাকায় অশান্তি করার জন্যই এদিন হামলা করে।’’