
পুলিশের উদ্য়োগে পুজো কমিটিগুলিকে চেক বিলি শুরু হল উত্তরবঙ্গে, তুঙ্গে রাজনীতির তরজাও
চেক বিলি নিয়ে শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, এভাবেই ভোটের রাজনীতি করছে শাসকদল। তৃণমূল কংগ্রেসের পাল্টা দাবি, তাদের সরকার মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। এটাকে যারা রাজনীতি করা বলছেন তারা ভুল করছেন।
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুজোর বাকি আর ১২ দিন। করোনা আবহে উৎসবের সুর অনেকটাই স্তিমিত। তার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী পুজো কমিটিগুলির হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক পৌঁছে দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গেল জেলায় জেলায়। জলপাইগুড়ির পুজো কমিটির সদস্যদের হাতে চেক বিলি করতে শুরু করলেন জেলার পুলিশ সুপার স্বয়ং। উত্তর দিনাজপুরে চেক বিলি হল রায়গঞ্জ থানার উদ্যোগে। চেক বিলিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজাও জোরদার হল।
শনিবার বেলা একটা নাগাদ জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ মণ্ডল এবং জলপাইগুড়ি প্রশাসক বোর্ডের প্রধান পাপিয়া পাল সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের একটি টিম জলপাইগুড়ি শহরের বড় পূজো কমিটিগুলির কর্মকর্তাদের হাতে চেক তুলে দেন। শহরের সমাজ পাড়া দুর্গাপূজা কমিটি, কদমতলা দুর্গোৎসব কমিটি, তরুন দল সহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি পুজো কমিটির সদস্যদের হাতে চেক তুলে দেওয়া হয়েছে।
জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো আমরা আজ থেকে পূজো কমিটির হাতে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেওয়ার কাজ শুরু করলাম। দ্রুত এই কাজ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পূজো কমিটিগুলিকে করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি গাইডলাইন মেনে পূজোর আয়োজন করতে অনুরোধ করা হয়েছে।’’
রায়গঞ্জের ক্লাবগুলোর কর্মকর্তাদের হাতে চেক তুলে দেন থানার আইসি। করোনা আবহে দুর্গোৎসব পালনে ৫০ হাজার টাকা করে চেক হাতে পেয়ে খুশি বিভিন্ন পুজো কমিটির সদস্যরা। তবে এই চেক বিলি নিয়ে শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির অভিযোগ, এভাবেই ভোটের রাজনীতি করছে শাসকদল। তৃণমূল কংগ্রেসের পাল্টা দাবি, তাদের সরকার মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। এটাকে যারা রাজনীতি করা বলছেন তারা ভুল করছেন।
উত্তর দিনাজপুরের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব সরকার বলেন, ‘‘এই প্যানডেমিক সিচুয়েশনে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে পারেনি রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো উন্নয়ন এই মুহূর্তে ভীষণভাবে জরুরি ছিল। কিন্তু তা না করে শুধুমাত্র ভোট রাজনীতির জন্য এভাবে ক্লাবগুলোকে টাকা বিলি করা হচ্ছে।’’
স্থানীয় তৃণমূল নেতা অরিন্দম সরকারের পাল্টা দাবি, ‘‘জনগণের পাশে দাঁড়ানো বা জনগণকে সাহায্য করাটা সরকারের কাজ। এই জন্যই মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছেন। করোনা আবহে অর্থনীতির অবস্থা খারাপ। এই অবস্থায় ক্লাবগুলোকে বলা হয়েছে মানুষের কাছ থেকে সে ভাবে যাতে তারা চাঁদা না তোলে। এতে তো সাধারণ মানুষই উপকৃত হবেন।’’