
দ্য ওয়াল ব্যুরো, বীরভূম: সম্পত্তির লোভে মাকে খুন করার অভিযোগ উঠল ছেলে ও বৌমার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মহম্মদবাজার থানার আঙ্গারগড়িয়া গ্রামে। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত ছেলে ও বৌমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের বুধবার আদালতে তোলা হয় ছেলের পুলিশি হেফাজত এবং বৌমার জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। যদিও ছেলে ও বৌমা তাদের বিরুদ্ধে ওঠা খুনের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘মা অবৈধ মদের কারবার করত। প্রতিবাদ করায় চক্রান্ত করে আমাদের ফাঁসানো হয়েছে।’’
পুলিশ জানিয়েছে, মা বন্দনা দাসকে (৫৫) খুনের অভিযোগে গ্রেফার করা হয়েছে ছেলে রাহুল দাস ও বৌমা সৌমি দাসকে। গত ১০ জানুয়ারি বন্দনা দাস নিজের বাড়িতে মারা যান। ছেলেমেয়ের মৃতদেহ সৎকারের জন্য উদ্যোগ নিলে বোন ও মামার বাড়ির লোকজন তাতে বাধা দেয়। ইতিমধ্যেই মামা গোপীবল্লভ দাস ভাগ্নে রাহুল ও তার স্ত্রী সৌমির নামে মহম্মদ বাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে এবং মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠায়।
বুধবার ধৃত দুজনকে সিউড়ি আদালতে তোলা হয়। পুলিশ অভিযুক্ত রাহুলের সাতদিনের হেফাজত চাইলে বিচারকরা পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের আর্জি মঞ্জুর করেন। সৌমিকে ১৪ দিনের জেল হেফাজত নির্দেশ দেন। রাহুলের বাবা পক্ষাঘাতগ্রস্ত এবং মায়ের একটি হোটেল রয়েছে। রাহুল ও তাঁর স্ত্রী বেঙ্গালুরুতে বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। বাবা অসুস্থ হওয়ার পর বাড়ি ফিরে আসেন।
বাবার নামে থাকা বাড়িটি সম্প্রতি রাহুল তার নামে লিখে নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। তাই নিয়ে বিবাদ চলছিল মা ও বোনের সঙ্গে। খুন না স্বাভাবিকভাবে মারা গিয়েছে ওই মহিলা তা ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে জানায় পুলিশ। সিউড়ি আদালতের ভারপ্রাপ্ত সরকারি আইনজীবী মোক্তাব হোসেন বলেন, ‘‘মাকে খুনের অভিযোগে ছেলে ও বৌমাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আজ ধৃতদের আদালতে তোলা হয়। রাহুল ও তার স্ত্রী সৌমি বলেন, ‘‘মা বেআইনি মদের কারবার করত এবং বোন বহু পুরুষের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে আছে। এই দুই ঘটনার প্রতিবাদ করায় তাদের সঙ্গে আমাদের বিবাদের সূত্রপাত হয়। সেই কারণেই মাসিদের সঙ্গে চক্রান্ত করে আমাদের ফাঁসিয়েছে। আমরা কোনভাবেই এর সঙ্গে জড়িত নই।