
করোনা হয়েছে শুনেই অবসাদগ্রস্ত নদিয়ার মাছ ব্যবসায়ী, গাছ থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ
দিলীপবাবু পরিবারের লোকজন জানান, করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে শুনেই মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। কল্যাণীর কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে শুনেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। রাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়েন। কিন্তু রাত একটা নাগাদ তাঁর স্ত্রী দেখেন বিছানায় নেই তিনি।
দ্য ওয়াল ব্যুরো, নদিয়া: বাড়ির উঠোনে আমগাছ থেকে উদ্ধার হল করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম দিলীপ বিশ্বাস (৬২)। করোনা ধরা পড়ার পর মানসিক অবসাদেই তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।
চাকদহ পুরসভার কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন দিলীপবাবু। মঙ্গলবার সকালে বাড়ির উঠোনে ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায় তাঁর। শোরগোল পড়ে যায় পরিবারে। জানা গিয়েছে, দিন কয়েক ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। সোমবার তাঁকে চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে করোনা পরীক্ষা করা হয়। বিকেলে ফোন করে বাড়িতে জানানো হয় পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে তাঁর। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে কল্যাণীর কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।
দিলীপবাবু পরিবারের লোকজন জানান, করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে শুনেই মানসিক অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি। কল্যাণীর কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে শুনেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। রাতে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়েন। কিন্তু রাত একটা নাগাদ তাঁর স্ত্রী দেখেন বিছানায় নেই তিনি। এরপরেই ছেলেদের ডাকেন তিনি। শুরু হয় খোঁজ। বাড়ির লোকজন পাড়ায় বেরিয়েও খোঁজ করেন। কিন্তু কোথাও পাওয়া যায়নি তাঁকে। পরে ভোরের আলো ফুটলে দেখা যায় বাড়ির উঠেনে আমগাছ থেকে ঝুলছে তাঁর দেহ।
এ খবর এলাকায় জানাজানি হতেই আতঙ্কে যে যার ঘরে ঢুকে পড়েন মানুষজন। কেউ ঘরের দরজা পর্যন্ত খোলেনি। পেশায় মাছ ব্যবসায়ী দিলীপবাবুর বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও তিন ছেলে রয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, সাহায্য চেয়ে বারবার চাকদহ থানায় ফোন করা হয়। কিন্তু অনেক বেলা পর্যন্ত আসেনি পুলিশ। বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ অবশেষে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
দিলীপবাবুর ছেলে জানান, তাঁর বাবার কোভিড পজেটিভ ধরা পড়লেও পরিবারের বাকিদের সবার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।