
বর্ধমান আদালতে আত্মসমর্পণ নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত সিআরপিএফ জওয়ানের
আইনজীবী রবীন মণ্ডল ধৃতের জামিন চেয়ে সওয়াল করেন। সরকারি আইনজীবী তাপস সামন্ত জামিনের জোরালো বিরোধিতা করে বলেন, ‘‘অভিযুক্ত নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেছে। অশ্লীল ছবি মোবাইলে তুলে রেখে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি নাবালিকার পরিবারকে সেনা বাহিনীর জওয়ান পরিচয়ে নানাভাবে শাসাচ্ছে।
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: এক নাবালিকাকে ধর্ষণে অভিযুক্ত সিআরপিএফ জওয়ানকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিল বর্ধমানের পকসো আদালত। অভিযুক্ত কুমারেশ তা বুধবার পকসো আদালতে আত্মসমর্পণ করে।পূর্ব বর্ধমানের রায়না থানার ইবিদপুরে তার বাড়ি।
মাধবডিহি থানার পাষণ্ডা গ্রামের বাসিন্দা ওই নাবালিকা। পুলিশসূত্রে জানা গেছে টিউশন পড়তে যাওয়ার সময় তার সঙ্গে কুমারেশের পরিচয় হয়। কুমারেশ তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এরপর ভুল বুঝিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে নাবালিকার সঙ্গে সে সহবাস করে। বর্ধমান শহরের নবাবহাট এলাকার একটি গেস্ট হাউসে নাবালিকাকে নিয়ে এসে সে সহবাস করে। অশ্লীল ছবি সে মোবাইলে তুলে রাখে। এরপর সেই ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে নাবালিকাকে তার সঙ্গে বারবার সহবাসে বাধ্য করে।
বিষয়টি জানার পর নাবালিকার বাবা-মা কুমারেশকে বাড়িতে ডেকে পাঠান। কিন্তু নানা অজুহাত খাড়া করে নাবালিকাকে সে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। তার কিডনির সমস্যা রয়েছে বলে সে জানায়। নাবালিকা ও তার পরিবারের লোকজনকে সে নানাভাবে ব্ল্যাকমেলিং করতে থাকে। বাধ্য হয়ে নাবালিকা থানায় যান।
থানা থেকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয় ওই নাবালিকার পরিবারকে। নাবালিকা ঘটনার কথা লিখিতভাবে এসপিকে জানান। এসপি কেস রুজু করে তদন্তের জন্য রায়না থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। বেশকিছু অশ্লীল ছবির স্ক্রিন শট এবং নবাবহাটের গেস্ট হাউসটির রেজিস্টারও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আইনজীবী রবীন মণ্ডল ধৃতের জামিন চেয়ে সওয়াল করেন। সরকারি আইনজীবী তাপস সামন্ত জামিনের জোরালো বিরোধিতা করে বলেন, ‘‘অভিযুক্ত নাবালিকাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেছে। অশ্লীল ছবি মোবাইলে তুলে রেখে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি নাবালিকার পরিবারকে সেনা বাহিনীর জওয়ান পরিচয়ে নানাভাবে শাসাচ্ছে। সওয়াল শুনে কুমারেশকে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন পকসো আদালতের বিচারক সৈয়দ নেয়াজউদ্দিন আজাদ।
ওই নাবালিকার গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করানো হয়েছে। তার মেডিক্যাল পরীক্ষা আগেই করানো হয়েছে।