
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: সরকারি অনুষ্ঠান মঞ্চে রাজনৈতিক বক্তৃতা দিয়ে বির্তকের কেন্দ্রে পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের সহ-সভাধিপতি দেবু টুডু।
সোমবার জেলার আউশগ্রাম ফুটবল মাঠে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের সরকারি অনুষ্ঠান ছিল। এখানেই দেবু টুডু বলেন, ‘‘৩৫ বছরের একটা সরকার আদিবাসীদের জন্য কিছুই করেনি। গরিব সাঁওতাল মানুষগুলো ঝাণ্ডা বয়েছে। আর বাবুরা সব পদে বসেছে। সাঁওতাল বা আদিবাসীদের কোনও উপকার হয়নি। কেউ তাদের জন্য কিছু ভাবেনি। ২০১১ সালে রাজ্যে পালা বদলের পর ক্ষমতায় আসেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর আদিবাসী গরিব মানুষের জন্য প্রকল্প তৈরি করেন।’’
এখানেই না থেমে তিনি বলেন, ‘‘তারাই এখন রং বদলে ধর্মের নামে মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করছে। ধর্মের মুখোশ পরে সাঁওতালদের মধ্যে বিভেদ তৈরি করছে। কিন্তু তা হবে না।’’
এদিন আদিবাসী দিবসের মঞ্চে যখন দেবু টুডু এই ভাবে রাজনৈতিক বক্তৃতা দিয়ে সভায় উপস্থিত মানুষজনের কাছ থেকে হাততালি পাচ্ছেন তখন মঞ্চে বসেছিলেন জেলাশাসক বিজয় ভারতী সহ বেশ কয়েকজন আমলা। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জেলার চার বিধায়ক নিশীথ মালিক, অভেদানন্দ থান্ডার, অলোক মাঝি ও নেপাল ঘোড়ুই। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন জেলা সভাধিপতি শম্পা ধাড়াও।
দেবু টুডু বলেন জেলা পরিষদে কোনও দিন কোন সাঁওতাল বা আদিবাসী সভাধিপতি হতে পারেনি। যারা গরিবের সরকার বলে রাজ্যে ৩৫ বছর রাজত্ব করেছে তারা কোনওদিন এসব ভাবেননি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই জেলা পরিষদের সভাধিপতি হয়েছিলেন সাঁওতাল সম্প্রদায়ের দেবু টুডু। বা বর্তমানে সহ-সভাধিপতি হয়েছেন।’’
দেবু টুডুর এই বক্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক গোটা জেলায়। সরকারি মঞ্চে কী করে একজন নেতা এই ধরণের রাজনৈতিক বক্তব্য রাখলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে সব মহলে। বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী বলেন, ‘‘তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা কোনটা সরকারি আর কোনটা তাঁদের দলের তা নিয়ে ভাবেন না। তাই সরকারি মঞ্চকেও নিজেদের দলের সভা বলে মনে করেন। আর পায়ের তলায় মাটি সরে গেলে তো এইসবই এখন বলবেন।’’