
ফুটবল মাঠ ও ক্যানেলের সংস্কারের কাজে সাত লক্ষ টাকা তছরুপের নালিশ বর্ধমানে
বিডিও অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, খণ্ডঘোষ থানার নাড়িচায় ১০০ দিনের প্রকল্পে বাথান ফুটবল মাঠের সংস্কার করা হয়। মাঠের সংস্কার নিয়ে নানা মহল থেকে বিডিও অফিসে অভিযোগ জমা পড়ে। তার ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দেন বিডিও। একইভাবে শশঙ্গা পঞ্চায়েতের কাকুনা থেকে শশঙ্গা পর্যন্ত ক্যানেলের সংস্কার নিয়েও বিডিও অফিসে অভিযোগ জমা পড়ে।
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: একশো দিনের প্রকল্পে ফুটবল মাঠ ও ক্যানেলের সংস্কার নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠল খণ্ডঘোষে। ৭ লক্ষ ৩ হাজার ৬১৮ টাকা তছরুপ করা হয়েছে বলে দাবি। এতে নাম জড়িয়েছে খণ্ডঘোষের ৬ সুপারভাইজারের। বিষয়টি নিয়ে গত ৩ ডিসেম্বর খণ্ডঘোষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন খণ্ডঘোষের বিডিও। তার ভিত্তিতে সরকারি অর্থ আত্মসাতের ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। যদিও বিডিও সত্যজিৎ কুমারকে প্রশ্ন করা হলে বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি। বলেন,‘‘অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি আমার জানা নেই।’’
খণ্ডঘোষ থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযোগ পাওয়া মাত্র মামলা রুজু হয়েছে (কেস নম্বর ১১/২০২১)।
বিডিও অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, খণ্ডঘোষ থানার নাড়িচায় ১০০ দিনের প্রকল্পে বাথান ফুটবল মাঠের সংস্কার করা হয়। মাঠের সংস্কার নিয়ে নানা মহল থেকে বিডিও অফিসে অভিযোগ জমা পড়ে। তার ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দেন বিডিও। তদন্তে ৪ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা নয়-ছয় হয়েছে বলে জানা যায়।
একইভাবে শশঙ্গা পঞ্চায়েতের কাকুনা থেকে শশঙ্গা পর্যন্ত ক্যানেলের সংস্কার নিয়েও বিডিও অফিসে অভিযোগ জমা পড়ে। তদন্তে ২ লক্ষ ৭৮ হাজার ৬১৮ টাকার অনিয়ম ধরা পড়ে। বিষয়টি বিডিও জেলাশাসককে জানান। জেলাশাসক এফআইআর করার জন্য বিডিওকে নির্দেশ দেন। সেইমতো বিডিও থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু থানা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ। বিষয়টি জেলাশাসককে জানান বিডিও।
জেলাশাসক সরকারি অর্থ নয়-ছয়ের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলার পুলিশ সুপারকে চিঠি দেন। চিঠি পেয়ে পুলিশ সুপার খণ্ডঘোষ থানার ওসিকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। এসপির নির্দেশ পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। শনিবার ঘটনার বিষয়ে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু হয়। শশঙ্গা পঞ্চায়েতের প্রধান প্রকাশ ঘোষ বলেন, ‘‘কেস রুজু হয়েছে কিনা জানা নেই। তবে, দিল্লি থেকে টিম এসে তদন্ত করে। তাতে হয়ত কিছু সমস্যা থাকলেও থাকতে পারে।’’