
নকীবউদ্দিন গাজী, গঙ্গাসাগর: কোভিড পরিস্থিতিতে এবার ঘরে বসেই সারা যাবে গঙ্গাসাগরে মকরসংক্রান্তির স্নান এবং মন্দির দর্শন। এমনই উদ্যোগ নিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। হাতে গোনা আর কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। তার পরেই এসে পড়বে মকরসংক্রান্তির মাহেন্দ্রক্ষণ।
১০ই জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। চলবে ১৫ই জানুয়ারি রাত পর্যন্ত। প্রতি বছর এই তিথিতে দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমান সাগরদ্বীপে, কপিলমুনির আশ্রমে। কিন্তু এ বার পরিস্থিতি আলাদা। করোনার কথা মাথায় রেখে তাই বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন। মেলা থেকে মন্দির দর্শন সব কিছুতেই ভার্চুয়াল মাধ্যমকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে প্রশাসন। এজন্য ঢেলে সাজানো হচ্ছে গঙ্গাসাগর অ্যাপটিকে।
মেলার শুরু থেকে সাগরতট সহ মেলা প্রাঙ্গণ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার একগুচ্ছ পরিকল্পনা নিয়েছে জেলা প্রশাসন। সাগরতট ও মেলামাঠ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য স্থানীয় গঙ্গাসাগর গ্রাম পঞ্চায়েত, সাগর পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক অফিসের মাধ্যমে নিয়োগ করা হয়েছে শতাধিক পুরুষ ও মহিলা সাফাইকর্মী। সাগরতট ও মেলাজুড়ে রাখা থাকবে প্রায় দু’হাজারের বেশী ভ্যাট।গঙ্গাসাগরে প্লাস্টিক পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিকল্প হিসেবে এবারও মেলাতে কাগজের ঠোঙা ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
করোনা আবহে মেলা ঘিরে তৈরি হয়েছিল সংশয়। তাই পর্যাপ্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েই মেলা করার ভাবনা। সুন্দবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাকিরা জানান, কচুবেড়িয়া স্থায়ী ও অস্থায়ী ঘাট থেকে স্যানেটাইজ করেই যাতে গাড়িতে ওঠেন তীর্থযাত্রীরা সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। মূল মন্দিরের সামনে যাতে কোনওভাবেই ভিড় না হয় সে দিকে নজর রাখা হচ্ছে। স্নানের ঘাটেও বাড়তি নজরদারি চলছে। স্নানের দিন ও আগেপড়ে নজরদারির জন্য ড্রোন ক্যামেরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওয়াচ টাওয়ারের উপর থেকেও ভিড়ে নজরদারি চালানো হবে।
মন্দির চত্বরে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে নাগাসাধুদের দল এসেছে। করোনা আবহে তীর্থযাত্রীদের আসা নিয়েও সংশয় দেখা দিলেও সব ভুলে মাহেন্দ্রক্ষণে লক্ষ লক্ষ তীর্থ যাত্রী সাগরে ডুব দেবেন বলেই মনে করছে সাগরতটের ব্যবসায়ীরা।