
অসম সীমান্ত থেকে পাকড়াও শিলিগুড়ির টি পার্ক কাণ্ডে অভিযুক্ত বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা
বিষয়টি নিয়ে শিলিগুড়ির কোনও পুলিশ কর্তা সংবাদমাধ্যমে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্তা বলেন, “সোমবার দুপুরেই ভিন রাজ্যের পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রসেনজিৎ রায়। তাঁকে শিলিগুড়ি আনা হচ্ছে।”
দ্য ওয়াল ব্যুরো, শিলিগুড়ি: অবশেষে মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে অসম-বাংলা সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হল শিলিগুড়ির বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা প্রসেনজিৎ রায়কে। এনজেপি টি পার্ক (ল্যান্ড পোর্ট) কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত প্রসেনজিৎকে সোমবার দুপুরে গ্রেফতার করা হয় বলে জানা গেছে। আজই বিমানে করে তাঁকে শিলিগুড়ি নিয়ে আসা হয়। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকেই তাঁকে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে শিলিগুড়ির কোনও পুলিশ কর্তা সংবাদমাধ্যমে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্তা বলেন, “সোমবার দুপুরেই ভিন রাজ্যের পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন প্রসেনজিৎ রায়। তাঁকে শিলিগুড়ি আনা হচ্ছে।”
তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে চলতি মাসের ৪ তারিখ নিউ জলপাইগুড়ি থানার ইনল্যান্ড কন্টেনার ডিপোতে ভাঙচুর এবং কর্মীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে। স্থানীয়দের নিয়োগ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমুল প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠনের সাথে ল্যান্ড পোর্ট কর্তৃপক্ষের ঝামেলা চলছিল। সেদিনও এই নিয়েই বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, তারপরেই তৎকালীন এনজেপির আইএনটিটিইউসি ইউনিট সভাপতি প্রসেনজিৎ রায়ের নেতৃত্বে ভাঙচুর করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী শহরে থাকাকালীন তাঁর দলেরই নেতাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ ওঠায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। শিল্প মহল থেকেও ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়।
এরপরেই ঘটনাস্থল থেকে ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্তু সেই সময় এলাকা থেকে পালিয়ে যান প্রসেনজিৎ। কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই তখন দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল এই নেতাকে। তারপর থেকেই খোঁজ চলছিল তাঁর। অবশেষে মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে অসম সীমান্তে তাঁর খোঁজ মেলে। তারপরেই সেখানে পৌঁছে এই নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।