
স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা বাঁকুড়ায়
বিষ্ণুপুরের হাজরাপাড়ায় থাকাকালীন ২০১০ সালের ১৬ জুন সুনীলবরণ পৈতণ্ডি অনিতার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনিতা পৈতণ্ডি ২৫ জুন মারা যান। তারপরেই অনিতার বাবা মৃত্যুঞ্জয় মিশ্র বিষ্ণুপুর থানায় জামাই সুনীলবরণ পৈতণ্ডির নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
দ্য ওয়াল ব্যুরো, বাঁকুড়া: স্ত্রীর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে সুনীলবরণ পৈতণ্ডি নামে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ছ’মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বিষ্ণুপুর মহকুমা আদালত।
২০০২ সালে বাঁকুড়ার পাঁচবাগা গ্রামের অনিতা মিশ্রের সঙ্গে বিয়ে হয় পার্শ্বলা গ্রামের সুনীলবরণ পৈতণ্ডির। বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে অনিতার উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন চলত বলে অভিযোগ। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে হয়ে যাওয়ার পরেও পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি।
কর্মসূত্রে বিষ্ণুপুরের হাজরাপাড়ায় থাকাকালীন ২০১০ সালের ১৬ জুন সুনীলবরণ পৈতণ্ডি অনিতার গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনিতা পৈতণ্ডি ২৫ জুন মারা যান। তারপরেই অনিতার বাবা মৃত্যুঞ্জয় মিশ্র বিষ্ণুপুর থানায় জামাই সুনীলবরণ পৈতণ্ডির নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।
এদিন সরকারী আইনজীবী গুরুপদ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট এণ্ড সেশন জজ আতাউর রহমানের এজলাসে এই মামলার বিচারপর্ব শেষ হয়। মঙ্গলবার বিচারক অভিযুক্ত সুনীলবরণ পৈতণ্ডিকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করেন। বুধবার বিচারক আতাউর রহমান সুনীলবরণ পৈতণ্ডিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছ’মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
সাজাপ্রাপ্ত সুনীলবরণ পৈতণ্ডি নিজে এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন।