
কমছে-বাড়ছে শীত, আলুর ধসা রোগ আটকাতে পাঁচ জেলার কৃষি আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক
শীত কমে গেলে আলুতে ধসা রোগ দেখা দেয়। আলু গাছে শুকিয়ে যায়। ফলে আলুর ফলন একেবারে কমে যায়। আলুচাষিদের এই রোগের হাত থেকে বাঁচাতে কী করতে হবে, প্রয়োজনীয় বা চাহিদা মত কীটনাশক মজুত আছে কি না, এই সবই ছিল বৈঠকে মূল আলোচনার বিষয় ছিল।
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: খামখেয়ালি আবহাওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছেন চাষিরা। সপ্তাহ খানেক জাঁকিয়ে শীত পড়েছিল। তারপর কার্যত উধাও হয়ে গিয়েছিল ঠান্ডা। আর এতেই আলুচাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। কারণ এমন আবহাওয়ায় আলুতে নাবি ধসার আক্রমণ ঘটে। তাই আলু উৎপাদন হয় এমন পাঁচ জেলাকে নিয়ে বৈঠকে বসলেন রাজ্যের মুখ্য কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার। বর্ধমানের কৃষিখামারের মাটিতীর্থ কৃষিকথা প্রাঙ্গণে পাঁচ জেলার আধিকারিকদের নিয়ে হল বৈঠক। বাঁকুড়া, হুগলি, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমানের কৃষি আধিকারিকরা এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
শীত কমে গেলে আলুতে ধসা রোগ দেখা দেয়। আলু গাছে শুকিয়ে যায়। ফলে আলুর ফলন একেবারে কমে যায়। আলুচাষিদের এই রোগের হাত থেকে বাঁচাতে কী করতে হবে, প্রয়োজনীয় বা চাহিদা মত কীটনাশক মজুত আছে কি না, এই সবই ছিল বৈঠকে মূল আলোচনার বিষয় ছিল। বিভিন্ন কীটনাশক সরবরাহকারী সংস্থার প্রতিনিধিরাও জানান, তাঁদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওষুধ মজুত আছে। সুতরাং ভয়ের কিছু নেই।
মাঝখানে কিছুদিন শীত উধাও হলেও বুধবার থেকে আবহাওয়া বেশ পরিবর্তন হয়েছে। ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রা ফের নিম্নগামী। শীত ফিরেছে বাংলায়। প্রদীপবাবুর আশা আর অন্তত দু’সপ্তাহ টানা ঠাণ্ডা থাকলে ধসার হাত থেকে আলুচাষ বাঁচবে।
বছর তিনেক আগে ধসায় আলুচাষে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হন চাষিরা। মাঠের পর মাঠ আলু জমি ধসায় শেষ হয়ে যায়। চাষিরা চরম সংকটে পড়েন। মারাত্মক লোকসান হয় আলু চাষে। ক্রমাগত জমিতে কীটনাশক প্রয়োগ করেও সেই বার কোন কাজ হয়নি। বাঁচানো যায়নি আলু গাছ। তাই এবার রাজ্যের কৃষি দফতর আগেভাগেই ধসা রোধে উদ্যোগ নিয়েছে ।
এবছর এমনিতেই আলুর দাম ছিল নাগালের বাইরে। একটা সময়ে আলুর দাম কেজিপ্রতি ৬০ টাকা পর্যন্ত উঠে যায়। প্রদীপবাবু জানান, এবছর আলু চাষের জমির পরিমাণ গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। গোটা রাজ্যের এ বছর চার লক্ষ হেক্টর জমিতে আলুচাষ হচ্ছে। তাই প্রথম থেকেই বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।