
১১ ঘণ্টার মধ্যে উদ্ধার ক্যানিং হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়া শিশু
ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে সুপার ডাঃ অপূর্ব লাল সরকার জানিয়েছেন “ভ্যাকসিন দেওয়ার নাম করে সকলের অলক্ষ্যে লেবার রুম থেকে সদ্যোজাত কন্যাকে নিয়ে চলে যায় এক মহিলা। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়।ক্যানিং থানার পুলিশের কাছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ তুলে দেওয়া হয়। চুরি যাওয়া সদ্যোজাত শিশু কন্যাকে পুলিশ আমাদের হাতে তুলে দেয়।’’
দ্য ওয়াল ব্যুরো, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: ১১ ঘন্টার মধ্যে অভিযান চালিয়ে ঘুটিয়ারি শরিফ থেকে চুরি যাওয়া সদ্যোজাত শিশুকন্যাকে উদ্ধার করল পুলিশ। কুসুম সেখ ওরফে নাজমা, নাজিমুদ্দিন সেখ সহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার হওয়া শিশুকন্যাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে জীবনতলা থানার বাঁশড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নবপল্লির বাসিন্দা রুপাইয়া নাথ প্রসবের জন্য ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সকালেই তিনি এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। চিকিৎসকরা পরে বুঝতে পারেন তাঁর গর্ভে আরও একটি সন্তান রয়েছে। ঘণ্টা তিনেক পর আবারও তিনি আর এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন।
এদিকে এদিন সকাল প্রায় নটা নাগাদ রুপাইয়া নাথের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে নাজমা খাতুন নামে এক মহিলা প্রথম কন্যাশিশুটিকে কোলে তুলে নিয়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার নাম করে বাইরে নিয়ে যান। এরপর সবার অলক্ষ্যে সদ্যজাত শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায় সে। এরমধ্যে বেশ কিছুক্ষণ সময় চলে যায়। সদ্যোজাত প্রথম শিশুকন্যাটির খোঁজ শুরু করেন রুপাইয়া নাথ। কন্যাশিশুকে না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন ওই মহিলা।
বিষয়টি বুঝতে পেরে নড়েচড়ে বসে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শুরু হয় সদ্যজাত শিশুর খোঁজ। খতিয়ে দেখা হয় হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা। ঘটনাস্থলে আসেন ক্যানিং থানার আইসি সহ অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা। তাঁরা হাসপাতালের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেন। পুলিশ তদন্ত নেমে এই ঘটনায় ২ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এরপর অভিযান চালিয়ে ঘুটিয়ারি শরিফ থেকে চুরি যাওয়া সদ্যজাত শিশু কন্যাকে উদ্ধার করে এবং গ্রেফতার করে কুসুম সেখ ওরফে নাজমা কে।

ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে সুপার ডাঃ অপূর্ব লাল সরকার জানিয়েছেন “ভ্যাকসিন দেওয়ার নাম করে সকলের অলক্ষ্যে লেবার রুম থেকে সদ্যোজাত কন্যাকে নিয়ে চলে যায় এক মহিলা। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হয়।ক্যানিং থানার পুলিশের কাছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ তুলে দেওয়া হয়। চুরি যাওয়া সদ্যোজাত শিশু কন্যাকে পুলিশ আমাদের হাতে তুলে দেয়।’’
হারানো সন্তানকে ফিরে পেয়ে স্বস্তি ফেরে শিশুটির পরিবারে।