
তৃণমূলের বিজয়ায় অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত একাধিক বিধায়ক, সভামঞ্চেই ক্ষোভ চেয়ারম্যানের
সভামঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় খগেশ্বর রায় বলেন, ‘‘আজ এখানে একমাত্র আমিই এসেছি। এই জেলায় আমাদের দু’জন আহ্বায়ক আছেন। আমি জানি না কী ভাবে যোগাযোগ হয়েছে। অনেক ব্লক সভাপতি বা অঞ্চল সভাপতিদের দেখতে পাচ্ছি না। আমি আজ কলকাতা থেকে ফিরেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছি। আমাদের বাকী বিধায়করা কেউই এলেন না কেন বুঝতে পারছি না।’’
দ্য ওয়াল ব্যুরো,জলপাইগুড়ি: জেলার সাতটি বিধানসভা আসনের মধ্যে ছটিই তৃণমূলের দখলে। বৃহস্পতিবার বিকেলে জলপাইগুড়ি আর্ট গ্যালারিতে তৃণমূলের জেলা কমিটির পক্ষ থেকে আয়োজিত বিজয়া সম্মেলনী অনুষ্ঠানে বিধায়ক হিসেবে একমাত্র উপস্থিত ছিলেন রাজগঞ্জের বিধায়ক তথা তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায়। গর হাজির ছিলেন বহু অঞ্চল সভাপতি ও নেতা নেত্রীরাও। দর্শকাসন ছিল প্রায় অর্ধেক ফাঁকা। আর এতেই ক্ষোভ গোপন করতে পারলেন না খগেশ্বর রায়।
তৃণমুল সুত্রে খবর জেলার প্রাক্তন সাংসদ তথা এসজেডিএ এর চেয়ারম্যান বিজয়চন্দ্র বর্মণ এ দিনের সম্মেলনের মূল আয়োজক। তিনিই সকলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমন্ত্রণপত্রে জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণীরও আহ্বায়ক হিসেবে নাম ছিল। এ দিনের সভায় ছিলেন তিনি।
সভামঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় খগেশ্বর রায় বলেন, ‘‘আজ এখানে একমাত্র আমিই এসেছি। এই জেলায় আমাদের দু’জন আহ্বায়ক আছেন। আমি জানি না কী ভাবে যোগাযোগ হয়েছে। অনেক ব্লক সভাপতি বা অঞ্চল সভাপতিদের দেখতে পাচ্ছি না। আমি আজ কলকাতা থেকে ফিরেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছি। আমাদের বাকী বিধায়করা কেউই এলেন না কেন বুঝতে পারছি না।’’
তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী বলেন, ‘‘আজকের সভার মূল উদ্যোক্তা ছিলেন আমাদের প্রাক্তন সাংসদ। একথা ঠিক অনেকে আসননি। তবে দীপাবলি উৎসব শুরু হয়েছে। অনেকেই ব্যস্ত আছেন। তবে নেতারা কেন এলেন না তা নিয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।’’