
লাভপুরে ঘর থেকে উদ্ধার বৃদ্ধ দম্পতির রক্তাক্ত দেহ, খুনের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় (৭৫) এবং স্বপ্না চট্টোপাধ্যায় (৬৫)। স্বপ্নাদেবী ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা। পূর্ণেন্দুবাবু রেলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। বাড়িতে তাঁরা দু'জন মিলে থাকতেন। তাঁদের ছেলে কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন।
দ্য ওয়াল ব্যুরো, বীরভূম: ঘর থেকে উদ্ধার হল বৃদ্ধ দম্পতির রক্তাক্ত মৃতদেহ। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল লাভপুরের কীর্ণাহারে। কীর্নাহারের ব্রাহ্মণপাড়ার বাসিন্দা ওই বয়স্ক দম্পতিকে ভারী কিছু দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। খুনের কারণ নিয়ে ধন্দে পুলিশ ও প্রতিবেশীরা। কারণ তাঁদের ঘর থেকে কিছু খোয়া যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় (৭৫) এবং স্বপ্না চট্টোপাধ্যায় (৬৫)। স্বপ্নাদেবী ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা। পূর্ণেন্দুবাবু রেলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। বাড়িতে তাঁরা দু’জন মিলে থাকতেন। তাঁদের ছেলে কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন।
শুক্রবার সকালে নিয়ম মেনেই কাজ করতে আসেন বাড়ির কাজের লোক। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁদের ডাকাডাকি করলেও সাড়া মেলেনি। তাই বাধ্য হয়ে বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানান তিনি। তাঁরাও এসে ডাকাডাকি করেন। কিন্তু সাড়া পাননি কোনও। বাড়ির মূল দরজা বন্ধ থাকায় মই দিয়ে পাঁচিল টপকে প্রতিবেশীরা ভিতরে ঢোকেন। দেখেন তাঁদের শোয়ার ঘরে দু’টি আলাদা খাটে রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে রয়েছে পূর্ণেন্দুবাবু ও স্বপ্নাদেবীর।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে লাভপুর থানার পুলিশ। মৃতদেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। বাড়ি থেকেই একটি রক্তমাখা হাতুড়ি ও একটি বাটখারা উদ্ধার হয়। ওই দু’টি বস্তু দিয়ে আততায়ীরা ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে থেঁতলে খুন করেছে বলে পুলিশের অনুমান। তদন্তের জন্য উচ্চপদস্থ পুলিশকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
পুলিশ কর্তাদের প্রাথমিক অনুমান বাড়ির মূল দরজা নয়, ছাদ দিয়ে আততায়ীরা বাড়িতে ঢুকেছিল। প্রথম অবস্থায় ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় খুন বলে মনে করা হলেও পরে দেখা যায় কোনও মূল্যবান জিনিসেই হাত দেয়নি দুষ্কৃতীরা। তাই রহস্য গাঢ় হয়েছে আরও। কী কারণে ওই বৃদ্ধ দম্পতিকে খুন করা হল তা নিয়ে ধন্দে পড়েছে পুলিশ। ওই দম্পতির ছেলে কল্লোল চট্টোপাধ্যায় আসানসোলে গাড়ির ব্যবসা করেন। সেখানেই থাকেন তিনি। খবর পেয়ে ছুটে আসেন তিনি। ওই দম্পতির প্রতিবেশী ও পরিজনদের সঙ্গে কথা বলে খুনের কিনারা করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।