
পাকা ধানের জমি ডুবল পিএইচইর ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের জলে, মাথায় হাত মানিকচকের চাষিদের
দ্রুত ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড়চন্দ্র মণ্ডল। তিনি জানান, ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের অপ্রয়োজনীয় জল প্লাবিত হয়ে যাওয়ার সমস্যা হয়েছে চাষিদের। তাই তাঁদের যাতে কোনওরকম ক্ষতির মুখে পড়তে না হয় তার জন্য পিএইচইর ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকদের সমগ্র বিষয়টি জানানো হয়েছে।
দ্য ওয়াল ব্যুরো, মালদহ: পাকা ধানের জমি ডুবল পিএইচইর ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের অপ্রয়োজনীয় জলে। ঘটনায় চরম ক্ষতির আশঙ্কা কৃষকদের। মানিকচকের মথুরাপুরে অঞ্চলের কামালপুর এলাকার চাষিদের অভিযোগ, প্রায় ৫০ বিঘা পাকা ধানের জমি বর্তমানে জলের নীচে। পিএইচই দফতরের পরিশোধিত ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে অপ্রোজনীয় জল ঢুকেছে পাকা ধানের জমিতে। কৃষকদের আশ্বস্থ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি।
কামালপুরে রয়েছে পিএইচইর জল পরিশোধনের ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট। এখানকার অপ্রয়োজনীয় জল কামালপুর এলাকার একটি সরকারি পুকুরে ফেলা হয়। অভিযোগ, বিপুল পরিমাণে জল ফেলার ফলে সেই জলে প্লাবিত হয়েছে পুকুর সংলগ্ন জমি। ধান কেটে ঘরে তোলার আগে এভাবে জলের তলায় জমি তলিয়ে যাওয়ায় চরম ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
এই এলাকায় শতাধিক পরিবার চাষবাস করে জীবিকা নির্বাহ করেন। লকডাউন পরবর্তী সময়ে ঋণ নিয়ে জমিতে চাষাবাদ করেছেন তাঁরা। ধান পেকে যাওয়ায় কাটার কাজ শুরু হতে চলেছে। ঠিক সেই সময় পিএইচইর জলে প্লাবিত হয়েছে পাকা ধানের জমি। বিগত বছরগুলোতেও একই রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন এলাকার চাষি পরিবারগুলি। সে সময় পিএইচই কর্তৃপক্ষ ও ব্লক প্রশাসনকে জানানোর পরেও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। এখন দ্রুত জমি থেকে জল সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করুক কর্তৃপক্ষ সেই দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। তা না হলে তাঁরা চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন বলে জানিয়েছেন।
ঘটনা নিয়ে পিএইচই কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য না পাওয়া গেলেও দ্রুত ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌড়চন্দ্র মণ্ডল। তিনি জানান, ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের অপ্রয়োজনীয় জল প্লাবিত হয়ে যাওয়ার সমস্যা হয়েছে চাষিদের। তাই তাঁদের যাতে কোনওরকম ক্ষতির মুখে পড়তে না হয় তার জন্য পিএইচইর ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকদের সমগ্র বিষয়টি জানানো হয়েছে।