
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশজুড়ে রেল রোকো কর্মসূচিতে উত্তরবঙ্গে ব্যহত হল ট্রেন চলাচল। কোথাও রেল লাইনের উপর বসে পড়লেন বাম কর্মী সমর্থকরা। কোথাও প্ল্যাটফর্মের উপর চলল বিক্ষোভ। কৃষি আইন প্রত্যাহারের পাশাপাশি এ দিন নবান্ন অভিযানে সামিল হওয়া ডিওয়াইএফআই কর্মী মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর প্রতিবাদেও বাম ছাত্র সংগঠনগুলির আজ রেল অবরোধ কর্মসূচিতে সামিল হয়।
আলিপুরদুয়ার জেলার নিউআলিপুরদুয়ার, আলিপুরদুয়ার জংশন, কামাখ্যাগুড়ি ও ফালাকাটা এই চার স্টেশনে রেল রোকো কর্মসূচি পালন করলেন বাম কংগ্রেস কর্মীরা। নিউ আলিপুরদুয়ার স্টেশনে কলকাতা গামী তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেস আটকে বিক্ষোভ দেখান বাম কংগ্রেস কর্মীরা। এর জেরে ২৫ মিনিট দেরিতে ছাড়ে তিস্তা-তোর্সা এক্সপ্রেস। পরে অবশ্য রেল অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা।
কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশজুড়ে রেল রোকোতে শরিক হলেন সিপিএমের জলপাইগুড়ির প্রাক্তন সাংসদ, জেলা সম্পাদক সহ অন্যান্যরাও। সারা ভারত কিষাণ সংঘর্ষ সমন্বয় কমিটি জলপাইগুড়ি তরফে এ দিন রেল অবরোধ করা হয়। তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে রেল লাইনের উপর বসে পড়েন সিপিএমের জলপাইগুড়ির প্রাক্তন সাংসদ জীতেন দাস, জেলা সম্পাদক সলিল আচার্য সহ অন্যান্য আন্দোলনকারীরা।
জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনে চত্বরে জমায়েত হয়ে পুলিশের সামনেই শুরু হয় বিক্ষোভ। এরপর তারা মিছিল করে চলে আসেন রেললাইনের উপর। রেললাইনে বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আন্দোলনকারীরা। জলপাইগুড়ি জেলার মোট ৭ টি থানা এলাকায় এই বিক্ষোভ চলে। বেলা ১২ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত এই বিক্ষোভ চলবে বলে জানান জলপাইগুড়ির প্রাক্তন সাংসদ জিতেন দাস।