
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: কেন্দ্রীয় কৃষি বিলের প্রতিবাদে জমিয়তে উলমায় হিন্দের রাস্তা অবরোধ কর্মসূচি ঘিরে তুলকালাম কাণ্ড গলসির গলিগ্রামে। কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন রাজ্যে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। পরে রাশ আলগা হয়ে যায় তাঁরও। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সামলাতে লাঠি হাতে পথে নামতে হয়েছে তাঁকে। তাতেও কিন্তু বাগে আনা যায়নি দলের কর্মী সমর্থকদের।
কৃষি বিলের প্রতিবাদে বুধবার সকাল গলসির গলিগ্রামে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন জমিয়তে উলমায় হিন্দের কর্মী সমর্থকরা। রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর নেতৃত্বে অবরোধ হয়। অবরোধের জেরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় জাতীয় সড়কে। রাস্তার দু’দিকের লেনেই সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে পড়ে। দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অবরোধ চলে।
প্রাথমিকভাবে ঠিক ছিল সিদ্দিকুল্লা চৌধুৱী জাতীয় সড়কের ধারে সভা করবেন। পরে আধঘণ্টার জন্য প্রতীকী অবরোধ করা হবে দু’নম্বর জাতীয় সড়ক। কিন্তু সকালে তিনি গলিগ্রামে পৌঁছনোর আগেই তাঁর দলের কর্মী সমর্থকদের একাংশ রাস্তায় বসে পড়েন। তিনি পৌঁছে বারবার মাইক নিয়ে বলতে থাকেন, ‘‘কেউ আইন ভাঙবেন না। কেউ রাস্তায় বসবেন না।’’ কিন্তু মন্ত্রীর কথা না শুনেই জাতীয় সড়কে বসে পড়েন উলেমার কর্মী সমর্থকরা।
মন্ত্রীকে দেখা যায় হাতে লাঠি নিয়ে দলের কর্মী সমর্থকদের নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। দলে দলে সমর্থক জাতীয় সড়কের উপর এসে সড়ক অবরোধ করে। শেষে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী নিজেও রাস্তায় গাড়ির মাথায় চেপে অবরোধে সামিল হন। দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ থাকায় মারাত্মক যানজটের সৃষ্টি হয়। যান চলাচল স্বাভাবিক করতে পুলিশকে হিমসিম খেতে হয়।
এখানে কৃষি বিল নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে মানতে চাইছে না কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ তাহলে ফেলা থুথু চাটতে হবে।’’ কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিমকোর্টকে ব্যবহার করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।’’