
শুভেন্দুর থেকে নন্দীগ্রামের আন্দোলনের রাশ হাইজ্যাক করেছিলেন মমতা, বিস্ফোরক সৌমিত্র খাঁ
শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে তাঁকে বিজেপিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে ‘দাদার প্রতি ভাইয়ের বার্তা’ দিয়ে সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘‘বিহার বিধানসভার ফলাফল প্রকাশিত, আর দেরি করা ঠিক নয়। দেরি করলেই পিছিয়ে পড়তে হবে। তাই লোহা গরম থাকতে থাকতেই ঘা দেওয়া দরকার’’।
দ্য ওয়াল ব্যুরো, বাঁকুড়া: নন্দীগ্রামে কোনও আন্দোলন করেনি তৃণমূল। করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির যুব নেতার কাছ থেকে সেই আন্দোলন হাইজ্যাক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।
মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম দিবস। তৎকালীন বাম সরকারের নন্দীগ্রাম পুনর্দখলের চেষ্টা বানচাল করে দেওয়া ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের কাছে দিনটির অন্য তাৎপর্য। এই দিনে তাঁরা স্মরণ করেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের শহিদদের। প্রতিবারের মতো এ বারও শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিতি ছিলেন গোকুলনগরের মাঠে। শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠান ও সভায়। তবে এবার রাজ্যের মন্ত্রীর মুষ্টিবদ্ধ হাতে ছিল অন্য প্রত্যয়। মুখের ভাষায় দিশা দেখাতে চেয়েছিলেন অন্য অভিমুখের।
এর ঠিক পরেই বাঁকুড়ায় কর্মী সম্মেলন করেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সম্মেলন শেষে তালডাংরার পাঁচমুড়া সংলগ্ন আধকড়া গ্রামে সুধানন্দ কালিকা আশ্রমে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানেই তিনি বললেন,‘‘নন্দীগ্রামে আসলে তৃণমূল কোনও আন্দোলন করেনি। আন্দোলন করেছিল ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি। তাঁদেরই যুব নেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছ থেকে আন্দোলনের রাশ হাইজ্যাক করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপরেই এই আন্দোলনের সঙ্গে তৃণমূলের নাম জড়ায়।’’
২০০৭ সালে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় সৌমিত্র খাঁ কংগ্রেসে। ২০১১ সালের ভোটে কোতুলপুর থেকে কংগ্রেসের টিকিটেই বিধানসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি । ২০১৩ সালে যোগ দেন তৃণমূলে। ২০১৪ সালে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে বিজেপিতে যোগ দেন তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত সৌমিত্র খাঁ।
মঙ্গলবার এই বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘‘রাজ্যের ইতিহাসে আজকের দিনটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি এই দিনেই শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে আরও এক ইতিহাস তৈরি হল আজ।’’ এরপরেই শুভেন্দু অধিকারীর নাম না করে তাঁকে বিজেপিতে আমন্ত্রণ জানিয়ে ‘দাদার প্রতি ভাইয়ের বার্তা’ দিয়ে সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘‘বিহার বিধানসভার ফলাফল প্রকাশিত, আর দেরি করা ঠিক নয়। দেরি করলেই পিছিয়ে পড়তে হবে। তাই লোহা গরম থাকতে থাকতেই ঘা দেওয়া দরকার’’।