
দ্য ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: দিনভর দাপিয়ে বেড়ানোর পর অবশেষে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু হল চিতাবাঘ। জালে জড়িয়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হল গরুমারা জাতীয় উদ্যান সংলগ্ন প্রকৃতিবিক্ষণ কেন্দ্রে। সেখানে চিকিৎসা হবে। সুস্থ থাকলে বনে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে বন দফতর সুত্রে খবর।
শনিবার ভোরে ময়নাগুড়ির সাপ্টিবাড়িতে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে চিতাবাঘটি। চা বাগান দিয়ে ঘেরা এই এলাকায় প্রচুর শেয়াল থাকে। তাদের ডাকে দিনরাত অস্থির থাকেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে শেয়ালের হাঁক ডাক না থাকায় তাদের ধারনা হয় এলাকায় চিতাবাঘ এসেছে। শনিবার সকালে বাগানে কাজ করতে গিয়ে চা শ্রমিকরা ঝোপের ভেতর একটি জন্তুর অস্তিত্ব বুঝতে পেরে ভাল করে দেখার জন্য কাছে গেলে ঝোপের ভেতর থেকে আচমকাই ঝাঁপিয়ে পড়ে একটি চিতাবাঘ। জখম করে একজনকে।
এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা চিতাবাঘটির পিছু ধাওয়া করলে সে জখম করে আরও দুজনকে। ততক্ষণে এলাকায় উপস্থিত হয় বন দফতর, পুলিশ ও রামশাই ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের কর্মীরা। জখমদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাগুড়ি হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে বন দফতর সুত্রে খবর।
স্থানীয় বাসিন্দা কৌশিক রায় বলেন, ‘‘গত কয়েকদিন ধরে শেয়ালের হাঁকডাক শোনা যাচ্ছিল না। তখন আমরা বুঝে গেছিলাম চিতাবাঘ এসেছে। আজ সকালে চা বাগানের কয়েকজনকে চিতাবাঘটি জখম করে।’’ আরেক বাসিন্দা রায়েব হোসেন বলেন, ‘‘চিতাবাঘ বেরিয়েছে শুনে দেখতে গেলে আচমকাই সেটি ঝাঁপ মেরে পালাতে যায়। তার থাবা লাগে আমাদের এখানকার একজনের মুখে। এরপর আরও দুজনকে জখম করে।’’
রামশাই ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের রেঞ্জার সুনীল রায় বলেন, ‘‘সকালে চিতাবাঘটি একটি ঝোপের ভেতর ছিল। কয়েকজন গিয়ে প্রথমে ঢিল ছোড়ে। এরপর বাঁশের খোঁচা দিতেই সেটি বেরিয়ে আক্রমণ করে। তিনজন জখম হয়েছেন এমন খবর পেয়েছি। তাঁদেরকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের ট্রাঙ্কুলাইজ টিম এসে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে বাঘটিকে ঘায়েল করে।’’