
যুবককে মারধরে অভিযুক্ত বর্ধমানের তৃণমূল নেতা আত্মসমর্পণ করলেন আদালতে
২০১৯ সালের ২৩ মে সন্ধে ৬টা নাগাদ গলসি থানার জুজুটি গ্রামের বাসিন্দা সমীর মৃধা তাঁর বন্ধু বুদ্ধদেব রায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসছিলেন বর্ধমান শহরের গোলাপবাগে ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। তাঁর কপালে গেরুয়া আবির দেখে খোকন দাসের নেতৃত্বে শ’খানেক তৃণমূল কর্মী-সমর্থক তাঁর বাইকটিকে আটকায়। বাইক থেকে নামিয়ে লাঠি, রড দিয়ে সমীরকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ।
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন এক যুবককে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম জেলা সাধারণ সম্পাদক খোকন দাস। বর্ধমান সিজেএম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন বর্ধমান পুরসভার এই প্রাক্তন চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল।
২০১৯ সালের ২৩ মে সন্ধে ৬টা নাগাদ গলসি থানার জুজুটি গ্রামের বাসিন্দা সমীর মৃধা তাঁর বন্ধু বুদ্ধদেব রায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসছিলেন বর্ধমান শহরের গোলাপবাগে ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। বুদ্ধদেব সিআইএসএফএ কর্মরত। তিনি গোলাপবাগে স্ট্রং রুম পাহারার দায়িত্বে ছিলেন। অভিযোগ, মোটরবাইক চালিয়ে আসার সময় আসার সময় বিজেপির সমর্থকরা সমীরের কপালে গেরুয়া আবির লাগিয়ে দেন।
এরপর তিনি বর্ধমান শহরের কাঞ্চননগরে পৌঁছালে তাঁর কপালে গেরুয়া আবির দেখে খোকন দাসের নেতৃত্বে শ’খানেক তৃণমূল কর্মী-সমর্থক তাঁর বাইকটিকে আটকায়। বাইক থেকে নামিয়ে লাঠি, রড দিয়ে সমীরকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর মোবাইল ফোনটিও কেড়ে নেওয়া হয় বলে পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগে জানান সমীর। যদিও ঘটনার পর কাউকেই গ্রেফতার করেনি পুলিশ। অভিযুক্তদের পলাতক দেখিয়ে গত বছরের ৩১ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট পেশ করেন তদন্তকারী অফিসার।
খোকন দাসের আইনজীবী উদয়শংকর কোনার বলেন, ‘‘মামলায় তদন্ত সম্পূর্ণ করে পুলিশ ইতিমধ্যেই চার্জশিট পেশ করেছে। যে সব ধারায় চার্জশিট পেশ হয়েছে সেগুলি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচার্য। তদন্ত সম্পূর্ণ হওয়ায় ধৃতকে অযথা আটকে রাখার প্রয়োজন নেই।’’ সরকারি আইনজীবীও চার্জশিট পেশ হওয়ার কথা জানান। তারপরেই সিজেএম তৃণমূল নেতা খোকন দাসের জামিন মঞ্জুর করেন।

জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক খোকন দাস বলেন, ‘‘অনেক পুরনো মামলা ছিল। আজ জামিন নিলাম।’’
বিজেপির জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী বলেন, ‘‘তিনি শাসকদলের নেতা। তাই হাজার অপরাধ করলেও তিনি পুলিশের নাগালের বাইরে থেকে যাবেন। এটাই এ রাজ্যের দস্তুর। তবে তাঁর এতদিনে বোধোদয় হয়েছে। তিনি আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন।’’