
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: দীর্ঘ আট মাস পর ট্রেনের চাকা গড়াল বর্ধমান রামপুরহাট লুপলাইনে। বুধবার সকাল সাড়ে ছ’টায় বর্ধমান স্টেশন থেকে রওনা দিল বর্ধমান-তিনপাহাড় প্যাসেঞ্জার।
আপাতত লোকাল ও প্যাসেঞ্জার মিলিয়ে মোট চারটি ট্রেন আপ ডাউন করবে এই রেলপথে। কোভিড বিধি মেনেই ট্রেন চলবে লুপলাইনে। পাশাপাশি এদিনই চালু হল বর্ধমান-আসানসোল লোকাল ট্রেন। স্বাভাবিক ভাবেই যাত্রীরা খুশি। মেল এক্সপ্রেস ট্রেন বাদ দিয়ে বর্ধমান রামপুরহাট রেলপথে লোকাল ও প্যাসেঞ্জার মিলিয়ে মোট ১০ জোড়া ট্রেন চলে। এখন এই কোভিড আবহে চারটি লোকাল ট্রেন চালু করে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরতে চাইছে রেল। বর্ধমান থেকে রামপুরহাট ১২৬ কিলোমিটার রেলপথের মাঝে মোট ১৭ টি স্টেশন পড়ে। বীরভূম ও বর্ধমান উত্তর অংশের লাইফলাইন এই রেলপথ। তাছাড়া উত্তরবঙ্গের সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম বর্ধমান-রামপুরহাট রেলপথ। বিহার ও ঝাড়খণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই রেলপথ।
এতদিন টানা ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে স্থানীয় মানুষজনকে। ১৪ নভেম্বর থেকে বর্ধমান-হাওড়া মেইন ও কর্ড শাখায় এবং বর্ধমান কাটোয়া রেলপথে লোকাল ট্রেন চালু হয়। এভাবেই ধীরে ধীরে গোটা রাজ্যেই রেল পরিষেবা প্রায় স্বাভাবিক হচ্ছে। স্বাভাবিক হচ্ছে মানুষের জীবনযাত্রা ও গণ পরিবহন ব্যবস্থা।
বর্ধমান আসানসোল রেলপথেও চালু হল প্যাসেঞ্জার ও লোকাল ট্রেন। যাত্রীদের দাবি, বেশি সংখ্যায় লোকাল ট্রেন চালানো হোক। নিত্যযাত্রী সন্দীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘লোকাল ট্রেন চালু হল ভাল কথা। কিন্তু কোভিড বিধি মেনে ভিড় এড়িয়ে সফরের জন্য আরও বেশি সংখ্যায় ট্রেন চালু করতে হবে।’’
দীর্ঘ সময় পর এদিন ভোর থেকেই বর্ধমান স্টেশনে চরম ব্যস্ততার ছবি ধরা পড়ে। জিআরপির পক্ষ থেকে বারবার মাইকে প্রচার চালানো হয় কোভিড বিধি মানার জন্য। ট্রেনের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সিটে ক্রশ চিহ্নও দেওয়া হয়েছে।