
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হাওড়া: দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেছে। তাই বিভিন্ন দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না হলেও কাঠি পড়ে গেছে ভোটের ঢাকে। কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে সব রাজনৈতিক দল। ‘খেলা হবে’ স্লোগানকে আঁকড়ে ধরেই যেন এবারের ভোটের রাজনীতি পাক খাচ্ছে। ভোটের ময়দান পেরিয়ে সেই রাজনীতি ঢুকে পড়ল মিষ্টির দোকানেও।
মধ্য হাওড়ার একটি মিষ্টির দোকানে দেখা গেল ক্ষীর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে নকশা। নানা রঙের সে নকশার বয়ান ‘খেলা হবে’। দোকানের শোকেসে দিব্যি সাজানো রয়েছে তা। রয়েছে ‘টুম্পা ব্রিগেড চল’। এবার ভোটের বাজারে সারাদিন মুখে মুখে ঘুরছে এই সমস্ত গান ও স্লোগান। এবার মিষ্টির দোকানেও ঢুকে পড়ল সেই পরিচিত শব্দবন্ধ। মিষ্টি কিনতে এসে অনেকেরই চোখ টানছে। আবার নেহাতই দেখতে এসে অনেকেই ফিরছেন মিষ্টি কিনে।
দোকানের মালিক কেষ্ট হালদার বললেন, বাঙালির কোনও পার্বনই তো মিষ্টি ছাড়া হয় না। তা ভোটটাই বা বাদ যাবে কেন? ভোটও তো একরকমের পার্বন। তাই ভোটের আবহ ঢুকে পড়েছে মিষ্টির দোকানে। তাঁর কথায়, “মানুষ মেতে উঠেছেন ভোট নিয়ে। মিষ্টিতে যদি একটু ভোটের ছোঁয়া রাখি তবে বিক্রি বাড়বে। এমনটাই ভেবেছিলাম। আর মিষ্টির সঙ্গে তো একটা হৃদ্যতার সম্পর্ক জড়িয়ে থাকে, তাই যতই এইসব গা গরম করা স্লোগান উঠুক, সব যেন শেষপর্যন্ত ভালোয় ভালোয় মিষ্টি দিয়ে শেষ হয় সেই কামনাও করছি।”
ক্ষীরের ‘খেলা হবে’ তো আছেই। সঙ্গে বিভিন্ন দলের প্রতীক দিয়ে তৈরি হয়েছে বড়বড় সন্দেশ। রয়েছে কমলা সবুজ রসগোল্লা। দোকানে একেবারে সামনে রাখা এই মিষ্টি নজর টানছে সবার। দশ টাকা পিস রসগোল্লা ও কুড়ি টাকা পিস সন্দেশের স্বাদ কেমন তা অনেকেই খেয়েও দেখছেন। শঙ্কর মিশ্র নামে এক ক্রেতা বললেন, “মিষ্টি অনেক ধরণের খেয়েছি। তবে ভোটের বাজারে এই মিষ্টি একেবারে ইউনিক। খেলা হবে তবে কি খেলা তা কেউই এখনো জানি না। খেলাটা মিষ্টি হোক, এটাই শুধু চাইছি।”