
হলদিবাড়ির চা মহল্লা থেকে উদ্ধার কয়েক লক্ষ টাকার চোরাইকাঠ, মিলল হরিণের শিংও
বন দফতর সুত্রে জানা গেছে সম্প্রতি মরাঘাট রেঞ্জের কর্মীরা এক কাঠ পাচারকারীকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এলাকার আরও কয়েকজন কাঠ পাচারকারীর নাম জানতে পারেন আধিকারিকরা। সেই সুত্রেই সোমবার দুপুরে হলদিবাড়ি চা বাগানের বেশ কয়েকটি মহল্লায় বানারহাট থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ অভিযান চালায় মরাঘাট রেঞ্জের বনকর্মীরা।
দ্য ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: ডুয়ার্সের হলদিবাড়ি চা বাগানে যৌথ অভিযান চালাল বন দফতর ও পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর পরিমান চোরাই কাঠ, তীর ধনুক ও প্রাণী দেহাংশ। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে বানারহাটে।
বন দফতর সুত্রে জানা গেছে সম্প্রতি মরাঘাট রেঞ্জের কর্মীরা এক কাঠ পাচারকারীকে গ্রেফতার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এলাকার আরও কয়েকজন কাঠ পাচারকারীর নাম জানতে পারেন আধিকারিকরা। সেই সুত্রেই সোমবার দুপুরে হলদিবাড়ি চা বাগানের বেশ কয়েকটি মহল্লায় বানারহাট থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে যৌথ অভিযান চালায় মরাঘাট রেঞ্জের বনকর্মীরা। অভিযানে উদ্ধার হয় প্রচুর পরিমানে শাল, সেগুনের লগ সহ চেরাই কাঠ। যার বাজার মূল্য অন্তত লাখ চারেক টাকা।
একই সঙ্গে একজনের কাঠের গোডাউন থেকে উদ্ধার হয়েছে হরিনের শিং এবং তীর ধনুক। উদ্ধার করা কাঠ বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে আসা হয়েছে রেঞ্জ অফিসে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। অভিযুক্তদের খোঁজে এলাকায় তল্লাশি শুরু হয়েছে। মরাঘাট রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার রাজকুমার পাল বলেন, ‘‘আজ আমরা যৌথ ভাবে হলদিবাড়ি চা বাগানের তিনটে লাইনে অভিযান চালাই। আনুমানিক আড়াইশো সিএফটির বেশি চোরাই শাল, সেগুন কাঠ ও লগ সহ জঙ্গল থেকে কাঠ চুরির কাজে ব্যবহৃত বেশ কয়েকটি বাইকের চাকা ও ঠেলার বডি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া কাঠের মূল্য চার লক্ষাধিক টাকা। এছাড়াও একটি বাড়ি থেকে তীর-ধনুক ও হরিণের শিং পাওয়া গিয়েছে। তার বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। প্রত্যেকেই খবর পেয়ে তালা মেরে দিয়ে পালিয়ে যায়। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।