
চণ্ডীতলায় গুলিতে মৃত যুবক, পুলিশকে না জানিয়ে দেহ দাহ করার চেষ্টার অভিযোগ পরিবারের বিরুদ্ধে
ভক্তিভূষণের পরিবার পুলিশকে জানায় মাথায় শাবলের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে ছেলের। যদিও পুলিশ মৃতের মাথায় গুলি লাগার চিহ্ন দেখে নিশ্চিত হয় গুলি করেই খুন করা হয়েছে ভক্তিভূষণকে। কেন তাঁকে গুলি করে খুন করা হল? তার পরিবারই বা কেন এই ঘটনা চেপে যেতে চাইল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: চণ্ডীতলায় গুলিতে খুন হলেন এক যুবক। পুলিশকে না জানিয়ে তাঁর পরিবার মৃতদেহ দাহ করে দেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে দেহ আটক করে শ্রীরামপুর ওয়ালস হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠায় চণ্ডীতলা থানার পুলিশ।
সোমবার বিকাল পাঁচটা নাগাদ চণ্ডীতলার কানাইডাঙায় গুলিবিদ্ধ হন ভক্তিভূষণ বাগ (৩৫)। বাড়ির কাছেই কেউ তাঁকে মাথায় গুলি করে বলে অভিযোগ। পরিবারের লোকজন আহত যুবককে ডানকুনির একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে নিয়ে যায়। ততক্ষণে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবকের। পুলিশের দাবি, এরপরেই কাউকে কিছু না জানিয়ে মৃতদেহ বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়ে দাহ করার চেষ্টা করে ওই যুবকের পরিবার। রাতে খবর পেয়ে চন্ডীতলা থানার পুলিশ মৃতদেহ আটক করে।
ভক্তিভূষণের পরিবার পুলিশকে জানায় মাথায় শাবলের আঘাতে মৃত্যু হয়েছে ছেলের। যদিও পুলিশ মৃতের মাথায় গুলি লাগার চিহ্ন দেখে নিশ্চিত হয় গুলি করেই খুন করা হয়েছে ভক্তিভূষণকে। কেন তাঁকে গুলি করে খুন করা হল? তার পরিবারই বা কেন এই ঘটনা চেপে যেতে চাইল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তবে পুলিশকে না জানিয়ে দেহ দাহ করে ফেলার চেষ্টার কথা অবশ্য অস্বীকার করেছে পরিবার। ওই যুবকের এক দাদা জানান, যখন ঘটনাটি ঘটেছে তখন বড়রা কেউ বাড়িতে ছিলেন না। পরিবারের একটি ছোট ছেলের সামনে ওই ঘটনা ঘটে। আর নার্সিংহোমে মারা যাওয়ার পর দেহ বাড়িতে নিয়ে এসেছিলেন। দাহ করে ফেলার কোনও চেষ্টা হয়নি।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মৃত যুবকের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়া ও ঋণ পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বহুজনের থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ছিল। বাড়িতে ফটোশপের কাজ করলেও নিজেকে সরকারি অফিসার হিসেবে সে পরিচয় দিত। পুলিশ জানিয়েছে সম্প্রতি শিয়াখালায় একটি বার লিজ নিয়েছিল ওই যুবক। তবে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। কী কারণ তাঁকে গুলি করে মারা হল তা এখনও স্পষ্ট নয়। সমস্ত সম্ভাবনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।