
দ্য ওয়াল ব্যুরো : গত সপ্তাহেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে মাদুরাইতে জালিকাট্টুর দর্শকাসনে দেখা গিয়েছিল। সেখানে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ডিএমকে নেতারা। কিন্তু তার পরেই জানা গেল, পুদুচেরিতে ডিএমকে-র সঙ্গে কংগ্রেসের ঐক্য নাও হতে পারে। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ডিএমকে-র সঙ্গে জোট বেঁধে পুদুচেরিতে ভাল ফল করেছিল কংগ্রেস। ২০২১ সালে তামিলনাড়ুর সঙ্গেই বিধানসভা ভোট হবে পুদুচেরিতে।
ডিএমকে-র সাংসদ এস জগাথারক্ষাকন পুদুচেরিতে দলের তরফে ভোটের দায়িত্বে আছেন। সোমবার এক বৈঠকে তিনি বলেন, তাঁদের দল ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সবক’টি আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। এরপরে নাটকীয়ভাবে তিনি ঘোষণা করেন, “যদি পুদুচেরিতে দলকে জেতাতে না পারি, তাহলে মঞ্চের ওপরেই আত্মহত্যা করব।”
গত কয়েক সপ্তাহেই বোঝা গিয়েছিল, পুদুচেরিতে ডিএমকে-র সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক খারাপ হয়ে আসছে। কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিল নিয়ে আলোচনার জন্য কংগ্রেস বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডেকেছিল। কিন্তু ডিএমকে সেখানে উপস্থিত হয়নি। লেফটেন্যান্ট গভর্নর কিরণ বেদির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রী ভি কে নারায়ণস্বামী। সেই বিক্ষোভেও শামিল হয়নি ডিএমকে।
পুদুচেরির বিধানসভায় এখন ডিএমকে-র তিনজন বিধায়ক আছেন। কংগ্রেসের বিধায়ক আছেন ১৪ জন। এডিএমকে-র আছে চারটি আসন। অল ইন্ডিয়া এন আর কংগ্রেসের আছে সাতটি। একটি সূত্রে খবর, জগাথারক্ষাকন পিএমকে-র সঙ্গে জোট বেঁধে ভোটে লড়তে চান। ওই দলের দাবি, পুদুচেরির প্রভাবশালী ভান্নিয়ার জাতের জন্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। জগাথারক্ষাকনের ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার জন্যই পুদুচেরিতে ডিএমকে-র সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। ডিএমকে-র দাবি, এবার মুখ্যমন্ত্রীর পদটি তাদের দিতে হবে।
পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, ডিএমকে-র ধারণা, নারায়ণস্বামীর নেতৃত্বে কংগ্রেস এবার ক্ষমতায় নাও ফিরতে পারে। তাই তারা আগেভাগে রাহুল গান্ধীর দলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করতে চাইছে। অনেকে বলছেন, জগাথারক্ষাকন যাই বলুন, ভোটের আগে ঠিকই কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধবে ডিএমকে। গত বিধানসভা ভোটে ডিএমকে পুদুচেরিতে পেয়েছিল মাত্র দু’টি আসন। আর একটি আসন পেয়েছিল উপনির্বাচনে। পুদুচেরিতে ক্ষমতায় থাকতে হলে কংগ্রেসের সহযোগিতা দরকার ডিএমকে-র। অন্যদিকে তামিলনাড়ুতে কংগ্রেসের দরকার ডিএমকে-কে।
রাহুল গান্ধী সম্প্রতি ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার জন্য তিন দিনের সফরে তামিলনাড়ুতে গিয়েছিলেন। তার আগে থেকেই পুদুচেরিতে ডিএমকে ও কংগ্রেসের সম্পর্কে অবনতি দেখা গিয়েছিল। একটি সূত্রে খবর, রাহুল চেষ্টা করছেন যাতে ওই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ডিএমকে-র সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক জোড়া লাগানো যায়।