
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাতে নিয়ন্ত্রণে এসেছে বড়বাজার এলাকার আগুন। কিন্তু প্রাণ চলে গেছে ৯ জনের। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জন দমকলকর্মী ও একজন পুলিশকর্মী আছেন বলে খবর। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেখানে পৌঁছতেই পুলিশ ও দমকল আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ঘটনাকে ‘দুভার্গ্যজনক’ বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি। মৃতদের পরিবারের প্রতি সহমর্মীতা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবার পিছু দশ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
এদিন রাতেই দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন। ভিতরেও ঢোকেন তিনি। বেরিয়ে এসে তিনি বলেন, “লিফ্টের ভিতরে পাঁচজনের দগ্ধ দেহ মিলেছে, লিফ্টের বাইরে ছিল দু’জনের দেহ। মৃতের পরিবারগুলিকে দশ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেন তিনি। জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী বারবারই ওঁকে ফোন করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ফিরহাদ ববি হাকিমও গিয়েছেন সুজিত বসুর সঙ্গে।
সোমবার সন্ধেবেলায় আগুন লাগে স্ট্র্যান্ড রোডের নিউ কয়লাঘাটা বিল্ডিংয়ের ১৩ তলায়। আগুন ক্রমে ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, দমকলকর্মীদের কয়েক জন আগুন নেভাতে গিয়ে বিষাক্ত গ্যাসে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁদেরই মধ্যে মারা গেছেন ৫ জন।
এদিন প্রথমে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। তার পরে আরও তিনটি পাঠানো হয়। শেষ পর্যন্ত পৌঁছয় মোট দশটি ইঞ্জিন। আনা হয় হাইড্রোলিক ল্যাডারও। অনেকক্ষণ ধরে লাগাতার চেষ্টা করে নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন।
এদিন সন্ধে ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ ওই বহুতলে আগুন লাগে। দাউদাউ করে আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা ফ্লোরে। দমকল সূত্রে খবর, অন্যান্য তলাগুলিতেও আগুন ছড়িয়ে পড়ছে। বহুতলের ১৩ তলায় রেলের অফিস রয়েছে।
কীভাবে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। আগুনের লেলিহান শিখা আশপাশের বাড়িগুলিতেও ছড়াচ্ছে। বহুতলের পাশের বাড়িগুলি খালি করে দেওয়া হচ্ছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ চলে।
আগুন ছড়িয়ে পড়ার পরেই বহুতলের লিফট ও বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তার পরেও কী করে লিফ্টের ভিতরে দগ্ধ দেহগুলি উদ্ধার হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।