দ্য ওয়াল ব্যুরো: করোনা অতিমহামারী ঠেকাতে দেশ জোড়া লকডাউন পড়ল পঞ্চম সপ্তাহে। এর মধ্যে বুধবার ভিন রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিক, ছাত্র ও পর্যটকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এদিন নির্দেশ দিয়েছে, আটকে পড়া যে ব্যক্তিদের দেহে করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ নেই, তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারবেন।
ভিন রাজ্যে আটকে পড়া সুস্থ ব্যক্তিদের যাতে বাড়ি ফিরতে দেওয়া হয়, সেজন্য সুপ্রিম কোর্টে কয়েকটি আবেদন জমা পড়েছিল। লকডাউনের মধ্যে কয়েকটি রাজ্য কোটা থেকে ছাত্রছাত্রীদের ফেরত এনেছে। তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কয়েকটি রাজ্য। এরপর কেন্দ্রীয় সরকার ভিন রাজ্যে আটকে পড়া ব্যক্তিদের ফেরার অনুমতি দিল। তবে এসম্পর্কে একটি নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক প্রতিটি রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে, একটি নোডাল বডি তৈরি করতে হবে। সেই সংস্থা স্থির করবে, কোন পদ্ধতিতে আটকে পড়া ব্যক্তিদের ফেরানো হবে। যাঁরা নিজেদের বাড়িতে ফিরতে চাইবেন, তাঁদের আগে পরীক্ষা করে দেখা হবে শরীরে কোভিড ১৯ এর সংক্রমণ ঘটেছে কিনা। যদি দেখা যায় তাঁরা সুস্থ, তবেই বাড়ি ফেরার অনুমতি দেওয়া হবে। যে বাসগুলিতে চড়ে ভিন রাজ্যে আটকে পড়া ব্যক্তিরা বাড়ি ফিরবেন, সেগুলি আগে স্যানিটাইজ করতে হবে।
কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করেছে, লকডাউন চলবে ৩ মে পর্যন্ত। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ ও পাঞ্জাবের মতো রাজ্য আগেই জানিয়ে দিয়েছে, তার পরেও কড়াকড়ি থাকবে। চলতি সপ্তাহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ্যমে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন, কীভাবে লকডাউন তুলে নেওয়া যেতে পারে।
সরকার সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, যে ব্যক্তিরা ভিন রাজ্যে গিয়ে আটকে পড়েছেন, তাঁদের নিয়ে প্রশাসন খুবই চিন্তিত। কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করছে, কীভাবে তাঁদের বাড়ি ফেরানো যায়। গত ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী লকডাউন ঘোষণা করেন। ফলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আটকে পড়েন হাজার হাজার পরিযায়ী শ্রমিক। অনেকে হেঁটে বাড়ি ফেরার চেষ্টা করেন। পথে যথেষ্ট পরিমাণে খাবার ও জল না পাওয়ায় অনেকে মারা গিয়েছেন।