
দ্য ওয়াল ব্যুরো : সাও পাওলোর ভিয়েলা ডা হারমোনিয়া বস্তি অঞ্চল পরিদর্শনে গিয়েছেন ‘প্রেসিডেন্ট’। তাঁর কাছে নানা অভাব-অভিযোগের কথা তুলে ধরছেন স্থানীয় মানুষ। এক বয়স্ক ব্যক্তি বললেন, করোনা অতিমহামারীর সময় তাঁর ঘরের সব জিনিসপত্র ফুরিয়ে গিয়েছে। মুদির দোকান থেকে কেউ কয়েকটা জিনিস কিনে এনে দিলে ভাল হয়। এক শিশুর মা বললেন, তাঁর কয়েকটি ডায়াপার সরকার। একটি পরিবার চাইল সাবান।
প্রেসিডেন্ট হিসাবে যিনি বস্তিবাসীদের কথা শুনছেন, তাঁর নাম ল্যারিসা ডা সিলভা। তিনি ২৪ বছর বয়সী সিঙ্গল মাদার। কয়েকদিন আগেও খুবই অভাবের মধ্যে ছিলেন। এখন তিনি বস্তির ৭০ টি পরিবারকে দেখভাল করেন।
সাও পাওলোর বৃহত্তম বস্তির নাম ‘পারাইসোপোলিস’। তারই একটা অঞ্চলের নাম ভিয়েলা ডা হারমোনিয়া। পারাইসোপোলিসে ৪০০ ‘স্ট্রিট প্রেসিডেন্ট’ নিয়োগ করেছেন স্থানীয় মানুষ। ল্যারিসা তাঁদেরই একজন। বস্তিবাসীদের বক্তব্য, করোনা ঠেকাতে প্রশাসন ব্যর্থ। তাই সাধারণ মানুষকেই উদ্যোগ নিতে হবে যাতে অতিমহামারীর সঙ্গে মোকাবিলা করা যায়। দেশের যে অঞ্চলগুলিতে করোনা সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি, সেখানে স্থানীয় মানুষ নিজেদের উদ্যোগে ভাড়া করেছেন অ্যাম্বুলেন্স, তৈরি করেছেন আনএমপ্লয়মেন্ট ফান্ড, নিজেরাই করোনা আক্রান্ত ও মৃতদের সংখ্যার হিসাব রাখছেন।
এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র ক্রমশ লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। একটু একটু করে সচল হচ্ছে অর্থনীতি। এমন সময় করোনা রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে লাতিন আমেরিকায়। রবিবার হু জানিয়েছে, বিশ্ব জুড়ে এদিন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৩৬ হাজার মানুষ। লাতিন আমেরিকাকে বলা হচ্ছে, অতিমহামারীর নতুন হট স্পট। ব্রাজিলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৭ লক্ষের বেশি মানুষ। মারা গিয়েছেন ৩৭ হাজার জন। আক্রান্তের সংখ্যার বিচারে আমেরিকার পরেই আছে ব্রাজিল। এপিডেমোলজিস্টদের মতে, ব্রাজিলে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কমিয়ে বলা হচ্ছে।