
শুভেন্দু নিজেই নন্দীগ্রামে প্রার্থী হতে চেয়েছেন, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠকের শেষে রাজীব
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দু’দফার প্রার্থী মনোনয়নের জন্য বৃহস্পতিবার দফায় দফায় বৈঠক চলেছে নয়াদিল্লিতে। সকালে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক শিবপ্রকাশের বাড়িতে বৈঠকে বসেন দলের রাজ্য নেতারা। তারপর দুপুরে বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডার বাড়িতে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে আলোচনা চলে। সন্ধ্যায় ফের পার্লামেন্টারি বোর্ডের বৈঠক হবে দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে দলের সদর দফতরে।
ওই বৈঠকের শেষে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের জানান, শুভেন্দু অধিকারী নিজেই নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হতে চেয়েছেন। দু’দফার বৈঠকেই সে কথা তিনি জানিয়েছেন। তবে এখনও পর্যন্ত আলোচনা হয়েছে মাত্র। সন্ধ্যায় পার্লামেন্টারি বোর্ডের বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
প্রাক্তন বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় হাওড়ার ডোমজুড়ের বিধায়ক ছিলেন। তিনি এদিন জানান, আমিও ডোমজুড়েই প্রার্থী হতে আগ্রহী। তবে ডোমজুড়ে ভোট হবে চতুর্থ দফায়। আপাতত প্রথম দু’দফার ভোটে প্রার্থী নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
তৃণমূলের অনেকে আন্দাজ করছিলেন, শুভেন্দু নন্দীগ্রামে এবং রাজীব ডোমজুড়ে প্রার্থী হতে চাইবেন না। কারণ, এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রে বিপুল সংখ্যক সংখ্যালঘু ভোট রয়েছে। তা ছাড়া নন্দীগ্রামে প্রার্থী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই ধারনা ভেঙে দিয়ে শুভেন্দু ও রাজীব নিজ নিজ বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রার্থী হতে চাইছেন। বিজেপির ঘরোয়া আলোচনায় দু’জনেই দাবি করেছেন, নন্দীগ্রাম ও ডোমজুড়ে সংখ্যালঘুদেরও বড় অংশ তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন।
রাজ্য রাজনীতির এই দুই তরুণ নেতা তাঁদের নির্বাচন কেন্দ্র নিয়ে বরাবর যত্নশীল ছিলেন বলে সুবিদিত। উৎসবে পার্বণে ইদে মানুষের পাশে থাকা, দরিদ্রদের উপহার দেওয়া, বিপদে আপদে সাহায্য করা—সবই নিয়মিত ভাবে করেছেন তাঁরা। পর্যবেক্ষকদের মতে, হতে পারে এই দুই নেতাই আশা করছেন, এই ভোটে নন্দীগ্রাম ও ডোমজুড়ে হিন্দু ভোটের মেরুকরণ হবে তাঁদের দিকে। সেই সঙ্গে সংখ্যালঘু ভোটের একাংশও তাঁরা পাবেন। হয়তো সেই কারণেই তাঁরা আত্মবিশ্বাসী।