
দ্য ওয়াল ব্যুরো : শুক্রবারই সম্ভবত আস্থাভোট নেওয়া হবে রাজস্থান বিধানসভায়। তাতে ভোট দিতে পারবেন বহুজন সমাজ পার্টি থেকে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া ছয় বিধায়ক। তাঁরা যাতে ভোট দিতে না পারেন, সেজন্য পিটিশন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। আবেদনকারীরা বলেছিলেন, যেভাবে ছয় বিএসপি বিধায়ক কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন তা অবৈধ। সুতরাং তাঁদের যেন আস্থাভোটে অংশ না নিতে দেওয়া হয়। শীর্ষ আদালত বৃহস্পতিবার সেই আর্জি নাকচ করে দিয়েছে। ছয় বিধায়ক ভোট দিতে না পারলে আস্থাভোটে গরিষ্ঠতা প্রমাণ করা কঠিন হত গেহলোট সরকারের পক্ষে।
আবেদনকারীরা বলেছিলেন, যেহেতু ১৪ অগাস্ট থেকে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হতে যাচ্ছে, তাই সুপ্রিম কোর্ট অবিলম্বে ছয় বিধায়কের ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করুক। কিন্তু শীর্ষ আদালত এদিন বলে, যেহেতু বিষয়টি হাইকোর্টের বিচারাধীন, তাই তাদের পক্ষে হস্তক্ষেপ করা সম্ভব নয়।
রাজস্থানে কংগ্রেসের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলট ও তাঁর অনুগামী ১৮ বিধায়ক বিদ্রোহ করার পরে গেহলোট সরকার সংকটে পড়ে। সোমবার শচীনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ও দলের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। তারপরেই শচীনদের বিদ্রোহের অবসান হয়। পর্যবেক্ষকদের ধারণা, আপাতত গেহলোট সরকারের সামনে তেমন কোনও বিপদ নেই। যদিও রাজস্থানের রাজনীতিতে শচীনের প্রত্যাবর্তন সহজ হবে কিনা সন্দেহ আছে। মুখ্যমন্ত্রীর ‘কাজের পদ্ধতি’-র সমালোচনা করে বিদ্রোহ করেছিলেন শচীন। গেহলোট বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত শচীনের সঙ্গে দেখা করেননি।
শচীন কংগ্রেস ছাড়ছেন না শুনে গেহলোট বলেছিলেন, ‘ফরগেট অ্যান্ড ফরগিভ’। যা হয়েছে সব ভুলে যান। এদিন তিনি ফের টুইট করে বলেছেন, ‘ফরগেট অ্যান্ড ফরগিভ’। অনেকের ধারণা, গেহলোট এদিনই শচীনের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। কিন্তু নিশ্চিত করে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
একটি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠকে গেহলোটের সঙ্গে শচীনের দেখা হতে পারে। ইতিমধ্যে গেহলোট হিন্দিতে টুইট করে বলেছেন, “সনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই চালাচ্ছে কংগ্রেস। গত এক মাসে কংগ্রেসের অভ্যন্তরে নানা বিষয়ে মতভেদ দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সেকথা ভুলে আমাদের সামনের দিকে অগ্রসর হতে হবে।”
পর্যবেক্ষকদের ধারণা, এই টুইটে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, সনিয়া ও রাহুলের নির্দেশ মেনে শচীনের সঙ্গে বিরোধ মিটিয়ে নেবেন। কিন্তু বাস্তবে ব্যাপারটা অত সহজ হবে না। গত একমাস ধরে গেহলোট প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীনকে ‘নিকম্মা আউর নাকারা’ অর্থাৎ অপদার্থ ও দুর্নীতিগ্রস্ত বলে সমালোচনা করে এসেছেন। বার বার বলেছেন, শচীনকে দেখতে সুন্দর, ভাল কথা বলতে পারেন। এছাড়া তাঁর কোনও গুণ নেই।