
দ্য ওয়াল ব্যুরো : গত বুধবার হায়দরাবাদের কাছে শমসদাবাদ থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন এক তরুণী পশুচিকিৎসক। ২৬ বছর বয়সী ওই তরুণীর দগ্ধ দেহ পাওয়া যায় বৃহস্পতিবার। ধর্ষণ ও খুনের দায়ে আপাতত চার যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের তিনজনের বয়স ২০ বছর অপরজনের ২৬। তাদের নাম মহম্মদ আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন ও চিন্তাকুন্তা চেন্নাকাসাভুলু। চারজনেরই বাড়ি নারায়ণপেট নামে এক জায়গায়। সেই শহর হায়দরাবাদ থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে। তারা লরির ড্রাইভার ও ক্লিনার হিসাবে কাজ করত। হত্যাকাণ্ডের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, চার যুবক বুধবার রাত ন’টা বেজে ২০ মিনিট নাগাদ দেখতে পায়, এক মহিলা বিপদে পড়েছেন। প্রথমে তারা মহিলাকে সাহায্য করতে যায়। তার এক ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে গণধর্ষণ ও খুন করে।
তদন্তে জানা গিয়েছে, আরিফ ও শিবা বুধবার সকাল ন’টা নাগাদ লরি নিয়ে টোল প্লাজায় আসে। তাদের লরিতে ভর্তি ছিল ইট। টোল প্লাজায় আরও দুই বন্ধু তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। লরি থেকে ইট নামাতে দেরি হচ্ছিল। তাই তারা টোল প্লাজায় অপেক্ষা করতে থাকে। সন্ধ্যা ছ’টা বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ তারা দেখতে পায়, এক মহিলা মোটরবাইকটি টোল প্লাজার কাছে পার্ক করলেন। তারা তখনই মহিলাকে যৌন নিগ্রহ করার ষড়যন্ত্র করে। বাইকের চাকা ফুটো করে দেয়।
ন’টার সময় মহিলা অফিস থেকে টোল প্লাজার কাছে এসে দেখেন বাইকের একটি চাকা লিক হয়ে গিয়েছে। আরিফরা তাঁকে সাহায্যের নাম করে এগিয়ে যায়। একজন তাঁর বাইকটি নিয়ে কিছুদূর ঘুরে আসে। তারপর বলে, বাইক সারানোর কোনও দোকান খোলা নেই।
তখনই মহিলার সন্দেহ হয়। তিনি তাঁর বোনকে ফোন করে বলেন, আমার খুব ভয় করছে। তার পরেই চারজন মহিলাকে টেনে নিয়ে যায় কাছের এক আবাসনে। তাঁকে গণধর্ষণ করে। পৌনে ১০ টায় তাঁর মোবাইলটি বন্ধ করে দেয়। রাত ১০ তা ২০ নাগাদ মহিলাকে তারা গলা টিপে মারে। দেহটি লরিতে তুলে নেয়। ১০ টা বেজে ২৮ মিনিটে তারা সেই স্থান ত্যাগ করে। আরিফ ও নবীন মহিলার টু হুইলারটি নিয়ে গিয়ে কোথুর নামে এক গ্রামে ফেলে আসে। রাত একটা নাগাদ তারা পেট্রল কেনে। রাত আড়াইটের সময় চাট্টানপল্লির এক কালভার্টের ওপরে পেট্রল দিয়ে দেহটি পুড়িয়ে দেয়।