
দ্য ওয়াল ব্যুরো, জলপাইগুড়ি: জলপাইগুড়ির দিনবাজার ছেয়েছে পেল্লাই পেয়ারায়। দোকানিদের জিজ্ঞাস করলেই, তাঁরা বলছেন থাইল্যান্ডের জায়ান্ট পেয়ারা। একেকটির ওজন ছয় থেকে সাতগ্রাম। এমনকি কোনও কোনও গুলি দু’কিলো পর্যন্ত হতে পারে। তাই দেখতে ভিড় জমেছে দিনবাজারে। দোকানে এই পেয়ারা কেনার জন্য ক্রেতাদের মধ্যেও রয়েছে উৎসাহ।
দোকানিদের দাবি, এই পেয়ারা আগে সুদূর থাইল্যান্ড থেকে এলেও ভারতেই চাষ হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে বেশ কিছু এলাকায় পেয়ারা চাষ হচ্ছে। তবে মূলত ছত্তিশগড়ের রায়পুর থেকেই জলপাইগুড়ি বাজারে আসছে এই বিশেষ ধরণের পেয়ারা।
সাধারণত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর, মগরাহাটের পেয়ারাই বেশি নাম। কিন্তু বর্তমানে বাজারে সারা বছর পেয়ারার চাহিদা রয়েছে। কিন্তু বারুইপুর ও মগরাহাটের পেয়ারার মরসুমী ফলন বেশি। তাই, সারা বছর চাহিদামতো যোগান দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেই ফাঁক ভরাচ্ছে এই থাই পেয়ারা। কৃষিবিশেষজ্ঞদের মতে, থাইল্যান্ডের এই পেয়ারা মরসুমী নয়। এই পেয়ারা সারা বছর ফলন রয়েছে। মোটামুটি ছোট অবস্থা থেকে গাছে ফল ধরে। এটির বিভিন্ন টাইপ রয়েছে। এই টাইপের মধ্যে পেয়ারা সাইজ নির্ভর করে। এখন দিনবাজারে যে পেয়ারা আসছে সেগুলি থাই গুয়াভা টাইপ টু। বাজারের যোগান বজায় রাখতে চাষীরা এখন এই ধরণের পেয়ারার ওপর ভরসা করছেন।
এদিকে খাদ্যের গুণাগুণ নিয়ে ডাক্তার সুশান্ত রায়ের বলছেন, অত্যন্ত সুস্বাদু এই পেয়ারাতে রয়েছে, প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, সোডিয়াম, পটাশিয়াম। পাশাপাশি এতে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। বীজ অত্যন্ত কম থাকায়, এই পেয়ারার পাল্ফ অত্যন্ত বেশি মাত্রায় থাকে। ফলে হৃদরোগ, ব্লাড সুগার, ক্যান্সার প্রভৃতি রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করার পাশাপাশি চোখের জ্যোতি বাড়াতে সাহায্য করে বলে জানা গেছে।
সোমবার থেকে জলপাইগুড়ি দিনবাজারের বেশ কিছু ফলের দোকানে দেখা গেছে এই জায়েন্ট পেয়ারা। অত্যন্ত সুস্বাদু এই পেয়ারাগুলি বিক্রি হচ্ছে দুশো টাকা কিলো দড়ে। এক ফল বিক্রেতা রামকৃষ্ণ সরকার জানান, অত্যন্ত সুস্বাদু এই পেয়ারা আগে থাইল্যান্ড থেকে আসতো। এখন রায়পুরে চাষ হচ্ছে। এই পেয়ারা গুলি একেকটি পাঁচশো গ্রাম সাইজ থেকে দু কিলো পর্যন্ত হয়। তবে খুব বড় সাইজের গুলি বিদেশেই রপ্তানি হয় বলে শুনেছি। আমরা দুশো টাকা কিলো দড়ে বিক্রি করছি। খুব বিক্রি হচ্ছে।