
দ্য ওয়াল ব্যুরো, নদিয়া: সংশোধনাগারের ভিতর বন্দির মৃতদেহ উদ্ধার হওয়া ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ালো নদিয়ার তেহট্ট। নাবালিকাকের ওপর যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল তার ওপর। একবছর ধরে তেহট্ট উপ-সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল তাকে। বুধবার দুপুরে সংশোধনাগারের শৌচাগার থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই বন্দির পরিবারকে নাজিরপুর থানার পুলিশ গিয়ে খবর দেয়। মৃতদেহ উদ্ধার করে তেহট্ট থানার পুলিশ। মৃত ওই ব্যক্তির নাম তুষার সরকার। বাড়ি করিমপুর মুক্তারপুর মাঠপাড়া এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি এলাকারই এক পাঁচ বছরের নাবালিকাকে শ্লীলতাহানির ও ধর্ষণের অভিযোগে প্রায় এক বছর ধরে জেল হেফাজতে ছিল তুষার।
সংশোধনাগার সূত্রে খবর, আজ জেল কর্তৃপক্ষ সকালে শৌচাগারে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তার দেহ ঝুলতে দেখতে পান। তেহট্ট থানার পুলিশ সেখানে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে ওই ব্যক্তি কিভাবে সকলের নজর এড়িয়ে গলায় ফাঁস দিল? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
মৃতের ভাই অনন্ত সরকার জানান, তার দাদা তুষার সরকারকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছিল। সে কারণে প্রায়ই মানসিক অবসাদে ভুগছিল। পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে জেলে এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করে যেতেন। কিন্তু, আজ ভোরবেলা মারা গেলেও পুলিশ অনেক দেরি করে বাড়িতে খবর দেওয়া বলে অভিযোগ তুলেছেন অনন্ত। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে তুষারের পরিবার। তার ঘটনার সঠিক তদন্ত চেয়েছেন।