
দ্য ওয়াল ব্যুরো, কোচবিহার : ছাত্র ভর্তি নিয়ে কলেজে কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের বিরুদ্ধে ওঠা তোলাবাজির অভিযোগে তোলপাড় হচ্ছে গোটা রাজ্য। কোচবিহারে সেই অভিযোগ উঠল খোদ জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি সাবির সাহা চৌধুরীর বিরুদ্ধে।দিনহাটা কলেজে ভর্তি হতে আসা এক ছাত্রী ভর্তির জন্য তাঁর কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে বলে হোয়াটস অ্যাপে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাবির চৌধুরীর নামও। তবে মঙ্গলবার অভিযোগ জানানো হলেও এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।
এই অভিযোগকে অবশ্য সাবির সাহা চৌধুরী তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন মেরিট লিস্টে নাম না থাকা সত্ত্বেও ওই ছাত্রীটি কেন কলেজে গিয়েছিল? সাবির বলেন, “যদি ওই ছাত্রী অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেন তবে আমি নিজেই ইউনিয়নের ওই সব নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব এবং পুলিশকে দিয়ে গ্রেফতার করাবো।”
সম্প্রতি গোটা রাজ্যের মতো কোচবিহারের পুলিশ প্রশাসনও প্রতিটি কলেজের গেটের সামনে পোস্টার লাগিয়ে জানিয়েছে, কেউ টাকা দাবি করলেই তাদের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে। এই মর্মে কয়েকটি মোবাইল নম্বরও দেওয়া হয়েছে পোস্টারে। হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমেও অভিযোগ জমা করতে বলেছে পুলিশ। যাঁরা অভিযোগ জানাবেন তাঁদের নাম ও পরিচয় গোপন রাখা হবে বলে জানায় পুলিশ। আত্মপক্ষ সমর্থন করে সাবির বক্তব্য রাখার পরেই তাই ধাক্কা খেয়েছে পুলিশের উপর আশ্বাস।
ছাত্র ছাত্রী মহলে প্রশ্ন, যে নিজের পরিচয় গোপন রাখতে হোয়াটস অ্যাপে পুলিশকে অভিয়োগ জানিয়েছেন, তিনি যে একজন ছাত্রী, এবং মেরিট লিস্টে তাঁর নাম নেই তা সংগঠনের জেলা সভাপতির জানার কথা নয়। তাহলে অভিযোগকারীর পরিচয় কীভাবে জানলেন তিনি? তবে কি শর্ষের মধ্যেই ভূত? এরপরে কি নিজের অভিযোগ নিয়ে আর এগোনোর সাহস পাবেন ওই ছাত্রী? ভর্তি -দুর্নীতির শিকার হয়েও কি নির্ভয়ে যাওয়া যাবে পুলিশের কাছে? বা গিয়েও কি লাভ হবে কোনও?
ভর্তি দুর্নীতি রুখতে নেত্রীর সদিচ্ছা তাই পুরোটাই পাক খাচ্ছে এমনই সন্দেহের আবর্তে।