
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খুব তাড়াতাড়ি গাছের পাতা ঝরে পড়বে, বলছে গবেষণা
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সম্প্রতি একটি নতুন গবেষণাতে জানা গেছে যে গাছেরা গরমকালে পাতা ঝরানো শুরু করে। সেন্সেন্সেস নামেএক টি প্রক্রিয়া প্রতিবছর সংঘটিত হয়। শীত আসার আগে গাছের পাতলাগুলো আর বাড়ে না। সেইসময় গাছ গাছের পাতা থেকে পুষ্টি পেয়ে থাকে, ফলত গাছের পাতা হলুদ, কমলা আর লাল হয়ে যায়। উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষের মধ্য দিয়ে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে। সেটার সময়কালের শেষকে চিহ্নিত করে।
গবেষণা থেকে আরও জানা যাচ্ছে যে বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে অনেক ঋতু দীর্ঘসময় ধরে স্থায়ী হচ্ছে। আবার ইউরোপের স্প্রিং লিফের দেখা পাওয়া যাচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ের দুসপ্তাহ আগেই। ১০০ বছর আগে এরকম ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।
ইকোসিস্টেম ইকোলজিস্ট কনস্ট্যান্টিন জোহান বলেন, “আগের বছরগুলোর ঋতুপরিবর্তন দেখে মনে হয়েছে সামনের দিনে প্রকৃতি আরও উষ্ণ হবে। আর সেক্ষেত্রে গরম বাড়বে, শরৎকাল আসতে দেরি হবে আর এই ঋতুচক্রে একটা ব্যাপক পরিবর্তন আসতে পারে। ফলত শরৎকাল আসতে আসতে দুই তিন সপ্তাহ দেরি হবে।”
জোহানের লেখা একটি সায়েন্স জার্নালে তিনি লিখেছেন, “আমরা অনুমান করছি যে এই শতাব্দীতে গাছের পাতা ঝরা কিছুদিন আগেই শুরু হবে। প্রায় তিন থেকে ছ’দিন আগে পাতা ঝরা শুরু হবে।”
এছাড়াও বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে বসন্তকাল ও গ্রীষ্মকালে গাছে পাতা ধরে। বর্তমানে কার্বন ডাই অক্সাইড, তাপমাত্রা ও আলোর মাত্রার কারণে গাছের পাতাগুলো আগে ঝরে যাচ্ছে।
জোহান বলেন যে অন্যান্য পরিবেশগত কারণ ছাড়াও দিনের দৈর্ঘ্যও পাতাদের ঝরে যাওয়ার অন্যতম কারণ।এখন গবেষকরা একটি তৃতীয় ফ্যাক্টরও খুঁজে পেয়েছেন, যেটাকে তাঁরা ‘স্ব-বাধা’ বলেছেন।
গাছেদেরও কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণের সীমাবদ্ধতা রয়েছে সে কথা জোহান আবারও মনে করিয়ে দেন। তিনি বলেন যে, “আমরা যদি ইচ্ছে মতো কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ পরিবেশে বাড়াতেই থাকি আর ভাবি গাছ সবটা গ্রহণ করে নেবে, তাহলে সেটা খুব ভুল হবে। কারণ গাছেদেরও একটা সীমা আছে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণের।”