
দ্য ওয়াল ব্যুরো : আমেরিকার কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সমালোচনা করেছিলেন ডেমোক্র্যাট পার্টির চার কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা জনপ্রতিনিধি। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁদের উপদেশ দিলেন, তোমরা যে দেশ থেকে এসেছ, সেখানেই ফিরে যাও। ট্রাম্প ওই কথা টুইট করার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছেন ডেমোক্র্যাটরা। এমনকী চার কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা যাঁর বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছিলেন, সেই পেলোসিও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, প্রেসিডেন্ট বর্ণবিদ্বেষী। তিনি যে ‘নতুন আমেরিকা’ গড়তে চান, সেখানে শ্বেতাঙ্গ বাদে আর কারও জায়গা নেই।
রবিবার সকালে ভার্জিনিয়ার স্টারলিং-এ গলফ খেলতে যাওয়ার আগে ট্রাম্প কৃষ্ণাঙ্গ জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে কয়েকটি টুইট করেন। তাতে লেখেন, চার ‘প্রগতিশীল’ ডেমোক্র্যাট কংগ্রেস উওমেন এমন দেশ থেকে এসেছেন, যেখানকার সরকার সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত। তারা জঘন্য, সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত ও বিশ্বের যে কোনও সরকারের চেয়ে অপদার্থ। সত্যি বলতে কি, ওই সব দেশে আদৌ সরকার আছে কিনা, তা নিয়েই সন্দেহ জাগে।
শেষে ট্রাম্প লিখেছেন, সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হল, সেই সব দেশ থেকে চার মহিলা এসে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রাষ্ট্রকে উপদেশ দিচ্ছেন, সরকার কীভাবে চালানো উচিত।
So interesting to see “Progressive” Democrat Congresswomen, who originally came from countries whose governments are a complete and total catastrophe, the worst, most corrupt and inept anywhere in the world (if they even have a functioning government at all), now loudly……
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) July 14, 2019
পেলোসি ট্রাম্পের নিন্দা করে বলেছেন, তিনি দেশের মানুষের মধ্যে বিভাজন আনতে চান। চার কৃষ্ণাঙ্গ কংগ্রেস সদস্য বলেছেন, আমরা প্রেসিডেন্টের নীতির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যায়। তাঁদের অভিযোগ, ট্রাম্প শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদ প্রচার করছেন।
I reject @realDonaldTrump’s xenophobic comments meant to divide our nation. Rather than attack Members of Congress, he should work with us for humane immigration policy that reflects American values. Stop the raids – #FamiliesBelongTogether!
— Nancy Pelosi (@SpeakerPelosi) July 14, 2019
When @realDonaldTrump tells four American Congresswomen to go back to their countries, he reaffirms his plan to “Make America Great Again” has always been about making America white again.
Our diversity is our strength and our unity is our power. https://t.co/ODqqHneyES
— Nancy Pelosi (@SpeakerPelosi) July 14, 2019
যে চার জনপ্রতিনিধি সম্পর্কে ট্রাম্প ওই মন্তব্য করেছেন, তাঁরা হলেন ম্যাসাচুসেটস থেকে নির্বাচিত আয়ানা প্রেসলি, মিশিগানের রশিদা তলাইব, নিউ ইয়র্কের আলেকসান্দ্রিয়া ওকাসিও কর্তেজ এবং মিনেসোটার ইলহান ওমর। তাঁরা সকলেই ২০১৮ সালে নির্বাচিত হয়েছেন।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, চার মহিলা বিদেশ থেকে এসেছেন। কিন্তু তথ্য বলছে অন্যরকম। প্রেসলির জন্ম আমেরিকার সিনসিন্নাটিতে। তলাইবের জন্মস্থান ডেট্রয়েট। কর্তেজের জন্ম নিউ ইয়র্কে। ট্রাম্পের বাড়ি থেকে মাত্র ২০ মাইল দূরে। একমাত্র ওমরের জন্ম সোমালিয়ার মোগাদিশুতে। সেদেশে গৃহযুদ্ধের সময় তাঁদের পরিবার আমেরিকায় পালিয়ে আসে। কৈশোরে ওমর আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভ করেন।
পেলোসি টুইটারে লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট যখন বলেন, মেক আমেরিকা গ্রেট এগেন, তিনি বোঝাতে চান ‘মেক আমেরিকা হোয়াইট এগেন’। বৈচিত্রের মধ্যে রয়েছে আমাদের শক্তি। প্রেসলি লিখেছেন, ট্রাম্প বর্ণবিদ্বেষের রাজনীতি করেন। তিনি অভিবাসীদের প্রতি অমানবিক আচরণ করছেন। তাদের পরিবারগুলি ধ্বংস করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তাঁর মতো লোক যে আমাদের বিরুদ্ধে ওই ধরনের মন্তব্য করবেন, তাতে আশ্চর্যের কিছু নেই।