
দ্য ওয়াল ব্যুরো : সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বরে ব্যাপক হারে বিক্রি হবে মোটরবাইক ও স্কুটার। এমনই আশা করছে বিভিন্ন বাইক নির্মাতা সংস্থা। তারা স্থির করেছে, এই তিন মাসে উৎপাদন বাড়ানো হবে আট থেকে ২৫ শতাংশ। হিরো মোটোকর্প, বাজাজ অটো, টিভিএস মোটর এবং রয়াল এনফিল্ড কোম্পানি সেপ্টেম্বর, অক্টোবরের জন্য তৈরি করেছে নতুন ‘আউটপুট প্ল্যান’। জুন, জুলাই মাসে যে আউটপুট প্ল্যান তৈরি হয়েছিল, তা সংশোধন করা হচ্ছে। তাদের ধারণা, দেওয়ালিতে বাইক ও স্কুটারের বিক্রি বাড়বে মূলত গ্রামাঞ্চলে।
চলতি বছরে কৃষিতে ভাল উৎপাদন হয়েছে। মূলত ভাল বর্ষা ও সরকারি ছাড়ের ওপরে ভর করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে কৃষিক্ষেত্র। সেজন্যই গ্রামে টু হুইলারের বিক্রি বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিভিন্ন বাইক কোম্পানির কর্তারা জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরে তৈরি হবে ১৬ লক্ষ ৫০ হাজার টু হুইলার। অক্টোবরে তৈরি হবে ২০ লক্ষ এবং নভেম্বরে তৈরি হবে ১৬ লক্ষ। এখন দুশ্চিন্তার কথা একটাই। বিভিন্ন এলাকায় লকডাউন জারি হলে বাইকের সাপ্লাই চেন-এর ক্ষতি হতে পারে। হিরো মোটরকর্পের সিএমডি পবন মুঞ্জল গত সপ্তাহে গাড়ির যন্ত্রাংশ নির্মাতাদের বার্ষিক কনভেনশনে মন্তব্য করেন, সাপ্লাই চেন যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেদিকে তিনি নজর রাখছেন। আগামী দিনে টু হুইলারের চাহিদা বাড়বে। তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বাড়াতে হবে উৎপাদন।
একটি সূত্রে জানা যায়, ভারতের সবচেয়ে বড় বাইক নির্মাতা সংস্থা হিরো মোটরকর্প সেপ্টেম্বরে ৭ লক্ষ ২০ হাজার থেকে ৭ লক্ষ ৩০ হাজার পর্যন্ত বাইক উৎপাদন করবে বলে স্থির করেছে। টিভিএস স্থির করেছে, ওই সময়ে উৎপাদন করবে ২ লক্ষ ৮০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ ইউনিট। রয়াল এনফিল্ড উৎপাদন করবে ৬০ থেকে ৬৫ হাজার ইউনিট।
অক্টোবরে হিরো ৮ লক্ষ বাইক উৎপাদন করবে বলে স্থির করেছে। ওই সংস্থা এর আগে কখনও এক মাসে এত বেশি উৎপাদন করার কথা ভাবেনি। টিভিএস মোটর ওই সময়ে ৪ লক্ষ বাইক উৎপাদন করবে বলে স্থির করেছে।
বাজাজ অটোর ইডি রাকেশ শর্মা বলেন, উৎসবের সময় টু হুইলারের উৎপাদন আগের মাসগুলির চেয়ে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ বাড়বে। টু হুইলারের কয়েকজন সাপ্লায়ার বলেছেন, বাইক ও স্কুটারের বাজার এখন কোভিড-পূর্ব স্তরে ফিরে গিয়েছে। আগামী দিনে বাজারের অবস্থা দাঁড়াবে আরও উৎসাহব্যঞ্জক।