
দ্য ওয়াল ব্যুরো : গত বুধবার রাতে উত্তরপ্রদেশের উন্নাওতে তিন কিশোরী পশুর খাবার সংগ্রহ করার জন্য মাঠে গিয়েছিল। ১৬, ১৫ ও ১৪ বছরের ওই তিনটি মেয়ে রাতে বাড়ি ফেরেনি। পরে ধানক্ষেতে তাদের অচেতন দেহ পাওয়া যায়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে মারা যায় দুই কিশোরী। অপর এক কিশোরী এখনও হাসপাতালে ভর্তি আছে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে আট টুইটার হ্যান্ডলারের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। সোমবার এই খবর জানিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
যে টুইটার হ্যান্ডলারগুলির বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে তাদের মধ্যে আছে বিখ্যাত সাংবাদিক বরখা দত্তের নিউজ পোর্টাল ‘মোজো স্টোরি’। ওই পোর্টালের তরফে বলা হয়েছে, ভয় দেখানোর জন্যই মামলা করেছে পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় উন্নাওয়ের সদর কোতোয়ালি থানায় ওই এফআইআরগুলি করা হয়। মোজো নিউজ বাদে অপর যে টুইটার হ্যান্ডলারগুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তাদের মধ্যে আছে জনজাগরণ লাইভ। এছাড়া আছেন আজাদ সমাজ পার্টির মুখপাত্র সুরজ কুমার বৌধ, নিলীম দত্ত, বিজয় আম্বেদকর, অভয় কুমার আজাদ, রাহুল দিবাকর ও নবাব সৎপাল তানোয়ার।
এদিন পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার বিনোদ কুমার পাণ্ডে বলেন, অভিযুক্তরা ভুল ও বিভ্রান্তিকর খবর ছড়িয়েছে। অন্যদিকে বরখা দত্ত বলেন, “আমরা সাংবাদিকতার রীতি মেনে উন্নাওয়ের খবর পরিবেশন করেছিলাম। সব পক্ষের বক্তব্যই আমাদের খবরে স্থান পেয়েছিল। পুলিশ আমাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির এমন ধারা প্রয়োগ করেছে, যাতে জেল পর্যন্ত হতে পারে। নিছক ভয় দেখানো ছাড়া তাদের কোনও উদ্দেশ্য নেই।” বরখা বলেন, তিনি আদালতে মামলা লড়তে তৈরি।
‘মোজো স্টোরি’-র সম্পাদক অভিযোগ করেন, উন্নাও পুলিশ তাঁদের এফআইআরের কপি পর্যন্ত দিতে অস্বীকার করেছে। ওই কপি না পেলে তাঁরা বিচার বিভাগের হস্তক্ষেপের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন না। বরখার দাবি, উন্নাও পুলিশের আচরণ সন্দেহজনক। কারণ কয়েকজন রাজনীতিকের সঙ্গে একই মামলায় তাঁদের জড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

উন্নাওতে মৃত দুই কিশোরীর দেহের শেষকৃত্য হয় গত শুক্রবার। তখন কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ওই ঘটনায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, ব্যর্থ প্রেমই এই হত্যার কারণ। কংগ্রেস নেতা উদিত রাজ অভিযোগ করেন, তিন কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। পরিবারের সম্মতি ছাড়াই মৃত দুই কিশোরীর শেষকৃত্য করে পুলিশ। ভুয়ো খবর ছড়ানোর অভিযোগে উদিত রাজের বিরুদ্ধেও এফআইআর করা হয়েছে।