
দ্য ওয়াল ব্যুরো: থানা, পুলিশ মানেই শিশুদের মনের মধ্যে আলাদা ভয়, আতঙ্ক কাজ করে। এমনকি কিছু কিছু দুষ্টু, চঞ্চল বাচ্চাদের পুলিশ কাকুদের ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়ান মায়েরা। থানায় গিয়ে উর্দি পরা পুলিশ দেখলেই ভয়ে সিঁটিয়ে যায় বহু শিশু। শিশুদের এই মনের ভয় দূর করতেই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী অভিনব উদ্যোগ নিয়েছেন। এবারে দালানওয়ালা পুলিশ স্টেশনের মধ্যেই তৈরি হল শিশুদের জন্য আলাদা ঘর! নাম দেওয়া হয়েছে ‘বাল মিত্র পুলিশ স্টেশন’।
নানাসময় রাস্তাঘাট থেকে শিশুদের উদ্ধার করে আনা হয় থানায়। আবার কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে কখনও কখনও পরিবারের সঙ্গেই থানায় আসতে বাচ্চাদের। থানায় এলে এতটাই ভয়ে সিঁটিয়ে থাকে বাচ্চারা, যে একেবারে মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকে তারা। কিন্তু এই নতুন পুলিশ স্টেশনে বাচ্চারা এলে মন খুলে কথা বলতে পারবে, মনের ভাব প্রকাশ করতে পারবে বলেই ধারণা উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভেন্দ্র সিং রাওয়াতের।

এই ঘরের মধ্যে থাকবে না কোনও বন্দুক, লাঠি, হাতকড়া। ঘরের দেওয়ালে রয়েছে নানা রঙের ছোঁয়া। আঁকা রয়েছে বাচ্চাদের পছন্দের কার্টুনের চরিত্রের ছবি। সারা ঘর জুড়ে খেলনা, পুতুল, বেলুন, বই। এখানে এলে স্বাভাবিক থাকবে বাচ্চারা। আস্তে আস্তে পুলিশ এবং থানা সম্পর্কে যে ভয় তাদের মনের মধ্যে লুকিয়ে থাকে, সেটাও কেটে যাবে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে দরিদ্র, শারীরিকভাবে অক্ষম শিশুদের জন্য সরকারি চাকরিতে পাঁচ এবং চার শতাংশ সিটের সুযোগ দেওয়া হবে। চাইল্ড প্রোটেকশন রাইটস কমিশনের চেয়ারপার্সন ঊষা নেগি জানিয়েছেন, এই রাজ্যের ১৩টি জেলায় শিশুদের জন্য পুলিশ স্টেশনে এমন ব্যবস্থা করা হবে। এখানেই শিশুদের কাউন্সিলিংয়ের ব্যবস্থাও করা হবে।
পুলিশের ডিরেক্টর-জেনারেল অশোক কুমার জানিয়েছেন, এই ধরনের অভিনব উদ্যোগের জন্য পুলিশের প্রতি মহিলা এবং শিশুদের সমস্ত ভয় কেটে যাবে। ইতিমধ্যেই ২২০০ জন শিশুকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করেছেন তাঁরা। এই পুলিশ স্টেশনেই তাঁদের পড়াশোনা, লেখাপড়া করার ব্যবস্থা করছেন এখানকার পুলিশ।