
দ্য ওয়াল ব্যুরো, হুগলি: গুড়াপের ফরিদপুর ও বেলতলায় ভোট পরবর্তী হিংসা। মারধর, বাড়ি গাড়ি ভাঙচুর। বিজেপি তৃণমূল সংঘর্ষে আহত দু’পক্ষের দশজন।
আহত তৃণমূল কর্মী ভোম্বল মালিককে এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনায় আজ দিনভরও টানটান উত্তেজনা বীরপুরে। ভোম্বল মালিকের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, গতকাল ভোটের সময় বুথের বাইরে বসে স্লিপ বিলি করছিলেন। সেই কারণে বিজেপির লোকেরা তাঁকে বাড়ি ফেরার সময় মারধর করে। পা ভেঙে দেয়। বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায়। দুটি চারচাকা গাড়ি ভাঙচুর করে।
বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, তাদের কর্মীদের মারধর করে তৃণমূল। বাড়ি ভাঙচুর করে। ধনিয়াখালি বিধানসভায় ভোট মিটতেই অশান্তি শুরু হয়েছে। পুলিশের টহল চলছে গ্রামে।
বিজেপির স্থানীয় নেতা সন্দীপ মুখার্জী বলেন, “তৃণমূলের পায়ের তলায় মাটি সরে গেছে। তাই ভোটের পরই আমার এবং আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমাদের শক্তি কেন্দ্রের প্রমুখ সহ বিভিন্ন বিজেপি কর্মী নেতাদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। গাড়ি ট্রাক্টর ভাঙচুর করেছে। মহিলাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাহিনী রাত তিনটে পর্যন্ত তাণ্ডব চালিয়েছে। আমরা বারবার পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। এরপরও যদি এরকম ঘটনা ঘটে তাহলে আর আমরা বসে থাকব না।”
তৃণমূল নেতা মহম্মদ হানিফ বলেন, “ওরা বুঝতে পেরেছে ভোট পাবে না । তাই আমাদের কর্মীদের মারধর করছে। সারাদিন শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। তা সত্ত্বেও তৃণমূল করার অপরাধে আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়। ওদের দাবি মোদীর দেশে থাকতে গেলে তৃণমূল করা যাবে না। তার জন্যই এই ঘটনাগুলো ঘটছে।”