
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রবিবার ছুটি থাকে স্কুল। কিন্তু এদিন সকাল থেকেই হইহই কাণ্ড সেই স্কুলবাড়িতেই। একদিকে চলছে জোরকদমে রান্নাবান্না, অন্যদিকে গান বাজছে তারস্বরে। স্কুলের গেটও সাজানো ফুল-মালা দিয়ে। ঠিক যেন বিয়েবাড়ির আয়োজন! বেলা গড়াতেই বোঝা গেল, সত্যিই বিয়েবাড়ি! মালদহের কালিয়াচকের গার্লস হাই স্কুলেই বিয়ে হল স্থানীয় ব্যবসায়ীর মেয়ের! ঘটনার কথা জানাজানি হতেই নিন্দায় ফেটে পড়েছেন স্কুলের পড়ুয়া, অভিভাবক, শিক্ষকরা। প্রশ্নের মুখে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, কেউ কিছুই জানতেন না। সকলের অজান্তে ছুটির দিনে বিয়েবাড়ির আয়োজন করার অনুমতি দিয়ে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। তাঁদের অভিযোগ, এর পর থেকে প্রতি রবিবারই তো এমন হতে পারে।কালিয়াচকের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্ণধার আলমগীর খান বলেন, “স্কুলে কেন বিয়েবাড়ি হবে? এই ঘটনায় এলাকার বাসিন্দা হিসেবে লজ্জাবোধ করছি। পাশাপাশি যারা স্কুল ভবনকে বিয়েবাড়ি হিসাবে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”
কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সাবিনা ইয়াসমিন অবশ্য দাবি করেছেন তিনি কিছুই জানতেন না। তাঁর অজান্তেই স্কুল ভবনকে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তাঁর। তিনি বলেন, “স্কুলবাড়িতে বিয়ের আসর বসানো উচিত নয়। ছাত্রীরা শুনলে তাদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। আমাকে অন্ধকারে রেখেই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির এক কর্তা এবং একজন কর্মী স্কুলটিকে বিয়েবাড়ির জন্য ব্যবহার করতে অনুমতি দিয়েছেন বলে শুনেছি। আমি বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি।”
কালিয়াচকের এই স্কুলের পাশেই কালিয়াচক থানা। সেখান থেকেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি আকের ঘটনায়। মালদহের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) উদয়ন ভৌমিক আশ্বাস দেন, এই ঘটনার সঙ্গে যাঁরা জড়িত তাঁদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।