
দ্য ওয়াল ব্যুরো : গত শনিবার সন্ধ্যায় এক মহিলার ফেসবুক পোস্ট দেখে চমকে ওঠেন তাঁর আত্মীয়-বন্ধুরা। তিনি নিজের স্বামীকে খুন করার জানিয়েছেন ফেসবুকে। ইতিমধ্যে মহিলা যে ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন তার মালিক লক্ষ করেছেন, ফ্ল্যাটের দরজায় লেগে আছে রক্ত। মেঝেও রক্তে মাখামাখি হয়ে আছে। ফ্ল্যাটের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। দক্ষিণ দিল্লির ছাতারপুর এলাকার ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে দরজা ভেঙে ঢোকে। ভিতরে দেখা যায়, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন ওই ফ্ল্যাটের ভাড়াটে। তাঁর স্ত্রীও অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছেন কাছেই। তিনিই ফেসবুকে স্বামীকে হত্যা করেছি বলে পোস্ট করেছিলেন।
সোমবার পুলিশ জানিয়েছে, ফ্ল্যাটের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। দরজায় ও মেঝেয় ছিল রক্তের দাগ। দরজা ভেঙে ফ্ল্যাটে ঢুকে দেখা যায়, ৩৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। তাঁকে ছুরি মারা হয়েছে। তাঁর স্ত্রীও অচৈতন্য অবস্থায় বিছানায় শুয়েছিলেন। তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। দিল্লির এইমস হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হচ্ছে।
৩৬ বছর বয়সী ওই মহিলার বাপের বাড়ি মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে। তিনি এখনও জ্ঞান ফিরে পাননি। ওই দম্পতি একটি বিমা কোম্পানিতে কাজ করতেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছিল। তাঁরা ২০১৩ সাল থেকে ওই ফ্ল্যাটে বাস করছিলেন।
গত ডিসেম্বরে দিল্লিতে আর একটি অপরাধের কথা জানা যায়। মহিলাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল থেকে ছবি নিয়ে তারপর সেই ছবি সফটওয়্যারের মাধ্যমে বদলে নগ্ন ছবি বানাত এক যুবক। তারপর সেই ছবি দেখিয়ে মহিলাদের ব্ল্যাকমেল করে টাকা তুলত ওই যুবক। এভাবে অন্তত ১০০ মহিলাকে ওই যুবক ব্ল্যাকমেল করেছে বলে খবর। দক্ষিণ দিল্লির বাসিন্দা এক মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে ২৬ বছর বয়সী ওই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবকের নাম সুমিত ঝা। আগেও ছত্তীসগড়ে এই ধরনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। পুলিশের জেরায় নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে সুমিত। যে ফোনের মাধ্যমে এই সব কাজ সে করত সেই ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
দক্ষিণ দিল্লির বাসিন্দা ওই মহিলা সুমিতের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা, প্রতারণা, অপরাধমূলক কাজ, আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন। মহিলা অভিযোগে জানিয়েছেন, সুমিত তাঁর ইন্সটাগ্রাম প্রোফাইল হ্যাক করে তাঁকে হুমকি দেয় তাঁর নগ্ন ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে দেবে। তার বদলে তাঁর কাছে থেকে ও তাঁর কনট্যাক্টে থাকা অন্যদের থেকেও টাকার দাবি করে সুমিত, এমনটাই অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা।